জাঙ্কফুড খাওয়া, পরিশ্রম না করা, খাওয়া-দাওয়া অপরিমিত ইত্যাদি নানা কারণে মানুষের ওজন বাড়ে। তার ফলে কমে যায় কর্মক্ষমতা, শরীরে বাসা বাঁধে রোগ। অল্প বয়সেই চেহারায় বার্ধ্যকের ছাপ পড়ে। অনেকে ডাক্তার দেখান, ডায়টেশিয়ানের কাছে যান। কিন্তু তাও তাঁদের পরামর্শও মেনে চলতে পারেন না। কিন্তু তারপরও ৫ টি সহজ কাজ করলেও কমতে পারে ওজন। কী কী সেগুলো? আসুন দেখি।
ওয়ার্কআউট
ওয়ার্কআউট ওজন কমানোর সবথেকে ভালো উপায়। সেজন্য দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় নিয়ম করে হাঁটুন। এছাড়াও ব্যায়াম, সাঁতার ও সাইকেল চালাতে পারেন। তাহলেই আপনার শরীর থেকে চর্বি ঝরবে। নিয়মিত এগুলো করতে না পারলেও সপ্তাহে কদিন করবেন তা ঠিক করে নিন। সেই মতো পালন করুন।
হাইড্রেট:
খাবার হজমের জন্য জলের প্রয়োজন। একটি সমীক্ষা অনুসারে, ঠিক মতো জলপান করে বাড়তি ওজন কমানো সম্ভব। খাওয়ার আগে হাফ লিটার জল খান। তাহলে মেটাবোলিজিমের হার প্রায় ২৪ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। আবার খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমে। এতে ৪০ শতাংশ ওজন কমতে পারেন।
আরও পড়ুন : এবার ছড়াচ্ছে West Nile Fever, কীভাবে বুঝবেন আক্রান্ত কিনা?
অল্প খান কিন্তু বারবার
অল্প অল্প করে বারবার খেলে শরীরের মেটাবলিজম রেট বাড়ে। এতে অতিরিক্ত ক্যালোরিও বার্ন হয়। সেজন্য কখন কী খাবেন তা আগে থেকে ঠিক করে নিন। আপনি রোজ যতটা ক্যালোরি বার্ন করেন, তার চেয়ে কম ক্যালোরি ইনটেক করলেই ধীরে ধীরে আপনার শরীরের সঞ্চিত ফ্যাট ঝরতে শুরু করবে। তবে সারাদিনে আপনি কতবার খাবেন, ছয় না চারবার তা নিজেই ঠিক করে নিতে পারেন।
গ্রিন টি
যদিও কোনও গবেষণায় এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি, তবে জানা যায়, গ্রিন টির নির্যাস হজমে সাহায্য করে। চর্বি গলানোর কাজেও সহায়ক। তাই প্রতিদিন গ্রিন টি খেতে পারেন।
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গের কাছেই রয়েছে দেশের সবচেয়ে বেশি সোনা, কোথায় ?
পর্যপ্ত ঘুম
কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুম আপনার ওজন কমাতে পারে। আট ঘণ্টার কম ঘুমালে স্ট্রেস লেভেল এবং করটিসল হরমোন বাড়তে পারে। আর কর্টিসলের মাত্রা বৃদ্ধি আপনার অন্ত্রের জীবাণুকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। আবার ঘুমের ক্ষতি হরমোনগুলোকেও ব্যাহত করে। যার ফলে আপনার জাঙ্ক ফুড খাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।