
Brain Stroke: সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ৮৫.৭ শতাংশ মানুষ স্ট্রোকের লক্ষণগুলি সম্পর্কে সচেতন নয়। এই সমীক্ষাটি ৯১ জনের উপর করা হয়েছিল। ভারতে তরুণদের মধ্যে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। হাসপাতালে স্ট্রোকের জন্য বিশেষজ্ঞ রয়েছেন, তবুও লোকেরা বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ভাবে অবগত নন। খুব কম রোগীই আছেন যারা স্ট্রোকের লক্ষণ বুঝে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পৌঁছান।
প্রতি বছর সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ স্ট্রোকের কারণে মারা যায়। মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশে রক্ত সরবরাহে সমস্যা হলে স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। এই রোগের লক্ষণগুলি মস্তিষ্কের যে অংশটি রক্ত সরবরাহের কারণে বন্ধ হয়ে যায় তার উপর নির্ভর করে। নিউরোলজিক ডিজঅর্ডারের কারণে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা হতে থাকে, যা থেকে অনুমান করা যায় স্ট্রোক হয়েছে। স্ট্রোকের সতর্কতা যদি সময়মতো বোঝা যায়, তাহলে শুধু জীবনই বাঁচানো যাবে না, রোগের চিকিৎসাও সম্ভব। চিকিৎসা ক্ষেত্রে একে শর্টকাটে 'FAST' বলা হয়।
স্ট্রোক কী (What Is Stroke)
স্ট্রোককে ব্রেন স্ট্রোক বা ব্রেইন অ্যাটাকও বলা যেতে পারে, যেখানে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। মস্তিষ্কের স্নায়ুতে বাধার কারণে রক্ত ও অক্সিজেন প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এই ব্রেন শককে স্ট্রোক বলা যেতে পারে।
স্ট্রোকের লক্ষণ
ব্রেন স্ট্রোকে 'FAST' কী?
F-ফেস ড্রপিং
যদি একজন ব্যক্তিকে অস্থির দেখাতে থাকে , মুখের একপাশে ঝাঁকুনি অনুভব করেন বা মুখের কিছু অংশ অসাড় হয়ে যায়, তবে এটি স্ট্রোকের ঝুঁকির লক্ষণ হতে পারে। কখনও কখনও হাসতে হাসতে মুখ বেঁকে যায়।
A- বাহু দুর্বলতা
যদি একজন ব্যক্তি তার উভয় হাত উঠানোর পরে অসাড় বা দুর্বল বোধ করেন তবে স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকতে পারে। হাতের মধ্যে ভারসাম্য হারিয়ে নীচে নেমে আসা স্ট্রোকের লক্ষণ।
S- কথা বলার অসুবিধা
যদি একজন ব্যক্তির কথা বলতে সমস্যা হয় বা তিনি সঠিকভাবে কোনো শব্দ উচ্চারণ করতে না পারেন, তাহলে এই সমস্যাটি স্ট্রোকের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এমন ব্যক্তিকে কথা বলতে বলুন। তিনি যদি কথা বলতে না পারেন তাহলে বুঝবেন সমস্যা বাড়ছে।
T- চিকিৎসকের কাছে যান
এখনই কল করার সময় যদি কোনো ব্যক্তির মধ্যে এই ধরনের লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে স্বাস্থ্য বিভাগে ফোন করুন এবং অবিলম্বে তা জানান। এর মাধ্যমে সেই ব্যক্তিকে সময়মতো বাঁচানো যায়। এ ছাড়া স্ট্রোকের আরও অনেক লক্ষণ রয়েছে।
স্ট্রোক দুই ধরনের হয়
১. মাইনর স্ট্রোক- যখন মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ হয় না, তখন আর্টিলারি ফেটে যায়, যার কারণে মস্তিষ্কের যে কোনও অংশে রক্ত জমাট বাঁধে, যাকে মাইনর স্ট্রোক বলে।
২. মেজর স্ট্রোক- যখন একটি আর্টিলারি ফেটে যায়, তখন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় এবং মস্তিষ্কের কিছু অংশে জমা হয়। এ কারণে মস্তিষ্ক কাজ করতে পারে না এবং সমস্যা বাড়তে থাকে।
স্ট্রোকের কারণ
কী কী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে
স্ট্রোকের ঝুঁকির কারণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ঝুঁকির কারণগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার মাধ্যমে, এর ঝুঁকি হ্রাস করার প্রচেষ্টা করা যেতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এ ছাড়া পরিবারের কারও যদি কখনও ব্রেন স্ট্রোক হয়ে থাকে, তাহলে পরিবারের বাকি সদস্যদেরও স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। স্ট্রোকের আগে হৃৎপিণ্ড দ্রুত স্পন্দন শুরু করে এবং হার্টে সামান্য ব্যথাও অনুভূত হতে পারে।
স্ট্রোক এড়াতে চাইলে এই অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করুন
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ট্রোকের রেড অ্যালার্ট সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। এর মধ্যে রয়েছে বাহু ও পায়ে দুর্বল বোধ করা। এ ছাড়া এটাও মাথায় রাখা জরুরি যে আপনি যদি কোনো ধরনের উপসর্গ অনুভব করেন, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং পরীক্ষা করাতে থাকুন।
Disclaimer: পরামর্শ সহ এই লেখা শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে। এটা কোনোভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। আজতক বাংলা এই তথ্যের দায় স্বীকার করে না।