শীত মানেই বিয়ের মরসুম। আর বিয়েবাড়ি গেলে ডায়েটের বালাই থাকে না। কড়াইশুঁটির কচুরি থেকে বিরিয়ানি, নলেন গুড়ের রসগোল্লা- কোনওটা কি ছাড়া যায়? সব কিছুই চেটেপুটে খাওয়া চলছে। কিন্তু ভূরিভোজের পরই বিপত্তি! অনেকেরই থাকে হজমের সমস্যা। তার উপর নিয়ম ভেঙে খাওয়াদাওয়া করার প্রভাব পড়ে শরীরে। গলা-বুক জ্বালায় সারা রাত ঘুম আসে না। অনেকেই অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ খেয়ে নেন। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওষুধ নয় জীবনযাত্রার পরিবর্তন করলেই অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি মেলা সম্ভব। গলা ব্যথা, বমি বমি ভাব, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বদহজম এবং বমি হয় অম্বল হলে। খাদ্যনালীতে আলসার পর্যন্ত হতে পারে।
১। খাবার পরেই ঘুম- (Avoid lying down immediately)-- অনেকের হজমের সমস্যা থাকে। তাঁরা নিয়ম মেনে চলেন। সেই নিয়ম না ভাঙাই শ্রেয়। অর্থাৎ নিজের ডায়েট ভাঙা উচিত নয়। রেড মিট ও মাংসে নিয়ন্ত্রণ টানুন। এ ছাড়াও খাওয়ার পর বসে বা শুয়ে থাকবেন না। তাড়াতাড়ি ডিনার সেরে নিন। ঘুমোতে যাওয়ার ২ ঘণ্টা খেয়ে ফেলতে পারলে আরও ভাল। মাঝের দুঘণ্টা পাইচারি করুন।
২। বেশি খাওয়ার অভ্যাস (Avoid consuming large meals)- কারও কারও বেশি খাওয়ার অভ্যাস থাকে। এই ধরনের লোকেরা অতিরিক্ত খান। যার ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স করে।
৩। নরম পানীয় খাবেন না- গলা-বুক জ্বালা করলেই ঠান্ডা পানীয় খেয়ে ফেলবেন না। এতে ঢেকুর তোলার প্রবণতা বাড়ে। পাকস্থলীর মধ্যে থাকা অ্যাসিড মুখে উঠে আসতে পারে। বমির সম্ভাবনাও থাকে।
৪। ঘুমের অভ্যাস- বালিশ ছাড়া ঘুমোন? এই অভ্যাস অম্বলের কারণ হতে পারে। শোয়ার সময় পা এবং মাথা একই সরলরেখায় রাখা উচিত নয়।
৫। ওজন নিয়ন্ত্রণ- দেহের ওজন বেশি হলেও হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন। বয়স অনুযায়ী ওজন কেমন হওয়া উচিত, সেই তালিকা দেখে নিতে পড়ুন এই প্রতিবেদন- Weight Chart According To Age: বয়স অনুযায়ী কতটা ওজন থাকলে আপনি ফিট? দেখে নিন ওয়েট চার্ট
৬। মানসিক চাপ ও নেশা- নানা কাজের মধ্যে বাড়তে এখন মানসিক চাপও বাড়ছে। তার উপর যদি ধূমপান বা মদ্যপানের নেশা থাকে তাহলে সমস্যা আরও বাড়ে। তাই মানসিক চাপ কমানোর জন্য প্রাণায়াম, হালকা ব্যায়াম করুন। মনকে শান্ত রাখতে গান শুনুন।
আরও পড়ুন- মেদ ঝরাতে জিম-প্রাতর্ভ্রমণ? খালি পেটে না গিয়ে পাতে রাখুন এই ৫ খাবার