বেড়েছে ব্যস্ততা। সকাল থেকে সন্ধে কাজের চাপ। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম। সেই ফাঁকে বাড়ছে মেদ। সেই সঙ্গে শরীরে বাসা বাঁধছে ডায়াবেটিস, ইউরিক অ্যাসিড ও কোলেস্টেরল। ফলে শরীরকে সুস্থ রাখাই এখন কঠিন কাজ। তাই শরীরচর্চা জরুরি। অন্তত হাঁটাহাঁটি করলেও শরীরে জন্য উপকারী। সকালে ঘুম থেকে উঠেই জুতো পরে হাঁটতে বা জিমে চলে যান অনেকে। কোনও খাবার না খেয়েই। এটা অনুচিত। সকালে শরীরচর্চা করতে যাওয়ার আগে নির্দিষ্ট খাবার দরকার। নইলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
শরীর সুস্থ রাখার চাবিকাঠিই হল হাঁটা ও শরীর চর্চা। হাঁটলে যে শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে তা-ই নয়, হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস, কোলেস্টেরলের মতো রোগকে হাতের মুঠোয় আনা সম্ভব। শরীরচর্চা বা হাঁটাহাঁটির জন্য বেশির ভাগ মানুষই সকালটাই অগ্রাধিকার দেন। সকালের মনোরম পরিবেশে হাঁটাহাঁটি বা জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে তাঁরা স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। খালিপেটে জিম তো দূরে হাঁটাও অনুচিত।এটা মোটেও সুঅভ্যাস নয়। প্রাতরাশ করেই হাঁটতে বেরানো উচিত।
সকালে হাঁটতে যাওয়ার আগে তবে কী কী খাবার খেতে পারেন?
১। পাউরুটি ও পিনাট বাটার-একটি ব্রাউন ব্রেড বা হোল গ্রেন ব্রেডে পিনাট বাটার দিয়ে সকালে খেতে পারেন। এটা স্বাস্থ্যকর খাবার। পাউরুটিতে থাকে কার্বোহাইড্রেড। যা শক্তি জোগাবে শরীরকে। আর পিনাট বাটারে থাকে ভাল ফ্যাট ও প্রোটিন। প্রোটিন তৈরি করবে পেশী। হাঁটাহাঁটি, শরীরচর্চার পর শরীরের কোষ ভেঙে যায়, প্রোটিন তা মেরামত করে। পাউরুটি ও পিনাট বাটার চটজলদি শক্তি জোগায়।
২। ফল- সকালে একটা আপেল বা নাসপাতিও খেতে পারেন।
৩। ড্রাইফ্রুটস- সকালে উঠে আমন্ড বা কাজুবাদাম খেতে পারেন। সাধারণ বাদামও খেলে উপকার। রাতে বাদাম, ছোলা ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে খেয়ে নিন। আমন্ডও ভিজিয়ে রাখতে পারেন।
৪। স্মুদি- সকালে অনেকের ভারী খাবার খেতেও ভাল লাগে। দীর্ঘক্ষণ না অভুক্ত থাকায় এই সময়টায় খিদে বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে স্মুদি খেতে পারেন। ইয়োগার্ট, তিসির বীজ ও স্ট্রবেরি মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া ওটস দিয়েও বানাতে পারেন স্মুদি।
৫। ওটস ও কলা- সকালে ঘুম থেকে গরম জলে ওটস ভিজিয়ে নেন। তার পর দুটো কলা কেটে মিশিয়ে নিন। ওটস কলা দারুণ খেতে লাগবে। ওটসে রয়েছে কার্বস, যা শক্তি জোগায়। আর কলা খেলে পাবেন ভরপুর এনার্জি।
আরও পড়ুন- উচ্চতা অনুযায়ী কতটা ওজন থাকলে আপনি সুস্থ? দেখে নিন ওয়েট চার্ট