বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে শর্করা থেকে কোলেস্টেরল এবং হার্ট সংক্রান্ত রোগের প্রতিকারে বাদাম খেলে মেলে উপকার। আপনি কি জানেন অতিরিক্ত আমন্ড খাওয়া বিবিধ রোগের কারণ হতে পারে। সব কিছুই নিয়ম মেনে খেতে হয়। অতিরিক্ত খেলে হিতে হয় বিপরীত।
বাদামের উপকারিতা
বাদামে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। যা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদরা বলছেন,বাদাম একটি উৎকৃষ্ট সুপারফুড। নানা রোগ প্রতিরোধ করে। হার্ট সম্পর্কিত অসুখ, খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে কাজ করে। বাদাম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও ওষুধের মতো কাজ করে। একাধিক গবেষণা বলছে, নিয়মিত ৩ মাস বাদাম খেলে আপনার কোলেস্টেরল কমে।
বাদামের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
কিডনিতে পাথর- বাদামে অক্সালেট নামে একটি উপাদান পাওয়া যায়। যা কঠিন বস্তু। এগুলি কিডনিতে জমতে পারে। অক্সালেট কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। কিডনিতে পাথর থাকলে বা কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা হলে বাদাম খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
অ্যালার্জির ঝুঁকি-আমন্ডিন নামক প্রোটিন বাদামে পাওয়া যায়। এই প্রোটিনের কারণে অনেকের অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে,যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাদাম খাওয়া উচিত।
অ্যাসিডিটি এবং ডায়রিয়া- অতিরিক্ত পরিমাণে বাদাম খাওয়ার ফলে বদহজম, অ্যাসিডিটি এবং পেট সম্পর্কিত সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় ডায়রিয়াও হয়।
শ্বাসকষ্ট- বাদামে হাইড্রোসায়ানিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে HCN থাকলে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা হয়। তাই বাদাম খাওয়া উচিত সুষম পরিমাণে।
বাদাম কি খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া উচিত নাকি খোসা-সহ?
পুষ্টিবিদরা বলছেন,বাদাম সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। বাদাম খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া উচিৎ নাকি খোসা সমেত, এনিয়ে কৌতূহল রয়েছে অনেকের। খোসা সমেত বাদাম খাওয়া উচিৎ। কারণ খোসা রয়েছে পলিফেনল,যা উদ্ভিদজ্জ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এতে বিবিধ ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এছাড়াও বাদামের খোসায় রয়েছে ফাইবার। প্রতিদিন ১০-১২ বা ৫৬ গ্রাম পর্যন্ত বাদাম খাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন- ১৩ মিনিটে বেজিং, আড়াই মিনিটে ইসলামাবাদ, অগ্নি ৩-র আতঙ্কে পড়শিরা