Uric Acid Ayurvedic Remedies: ইউরিক অ্যাসিড, ডায়াবেটিসের যম গুলঞ্চ, কীভাবে খাবেন?

খাবার থেকে উৎপন্ন ইউরিক অ্যাসিড রক্তে মিশে কিডনিতে পৌঁছয়। কিডনি তা মূত্রের মাধ্যমে শরীরের বাইরে নির্গত করে দেয়। যকৃত যদি নির্গত ইউরিক অ্যাসিডের চেয়ে বেশি পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে, তখন তা ছাঁকতে পারে না কিডনি। বেড়ে যায় ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ। এর কারণ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস।

Advertisement
ইউরিক অ্যাসিড, ডায়াবেটিসের যম গুলঞ্চ, কীভাবে খাবেন?গুলঞ্চের উপকারিতা।
হাইলাইটস
  • ইউরিক অ্যাসিডের আয়ুর্বেদিক প্রতিকার।
  • নিয়মিত খান গুলঞ্চ।

ব্যস্ত জীবন এবং পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস ডেকে আনছে নানা অসুখ। এর মধ্যে অন্যতম রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। খাবার থেকে উৎপন্ন ইউরিক অ্যাসিড রক্তে মিশে কিডনিতে পৌঁছয়। কিডনি তা মূত্রের মাধ্যমে শরীরের বাইরে নির্গত করে দেয়। যকৃত যদি নির্গত ইউরিক অ্যাসিডের চেয়ে বেশি পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে, তখন তা ছাঁকতে পারে না কিডনি। বেড়ে যায় ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ। এর কারণ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। অস্থিসন্ধিতে জমা হতে থাকে এই ইউরিক অ্যাসিড। ফুলে গিয়ে ব্যথা হয়। এমন কিছু খাবার আছে যা খেলে বাড়তে পারে ইউরিক অ্যাসিড। ওষুধ না খেয়ে ইউরিক অ্যাসিড কমাতে পারেন আর্য়ুবেদিক উপায়ে। 

ইউরিক অ্যাসিডে যা খাবেন না- 

রেড মিট এবং সি-ফুড- রেড মিট এবং সামুদ্রিক মাছে থাকে পিউরিন। শরীরে পিউরিন ভেঙে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে সামুদ্রিক মাছ ও রেড মিট এড়িয়ে চলুন। পাঁঠার মাংসের সঙ্গে মুসুরডালও খাবেন না।

নরম পানীয়- কোলাজাতীয় নরম পানীয় এড়িয়ে চলুন। এতে প্রচুর চিনি থাকে। দিনে কমপক্ষে ৮ গ্লাস জল খান।

অ্যালকোহল- অ্যালকোহলও ইউরিক অ্যাসিড বাড়িয়ে দেয়। তাই ইউরিক অ্যাসিডের বৃদ্ধি ঠেকাতে অ্যালকোহল কম খান।

মিষ্টি- হাই ইউরিক অ্যাসিড সমস্যায় থাকলে মিষ্টি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এগুলি শুধু ইউরিক অ্যাসিড নয় শরীরের ওজনও বাড়াতে পারে। অত্যন্ত মিষ্টিজাতীয় জিনিসে থাকা ফ্রুক্টোজ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায়।

ইউরিক অ্যাসিড কমাতে কী করবেন? 

ভিটামিন সি থাকে লেবুতে। তা ইউরিক অ্যাসিডকে শরীরের বাইরে বের করতে সক্ষম। কমলালেবু, মোসাম্বি, পাতিলেবু খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। খেতে পারেন আমলা ও জাম। রোজ অন্তত ৪৫ মিনিট শরীরচর্চা করা দরকার।  রাতে ভারী খাবার খাবেন না। রাতে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা করে ঠিকমতো ঘুমোন।

আর্য়ুবেদিক উপায়

অনেকের বাড়িতেই থাকে গুলঞ্চ গাছ। তার পাতা ও ডাল কেটে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে গুঁড়িয়ে নিয়ে ১ গ্লাস জলে সেদ্ধ করে নিন। জলের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। ছেঁকে খেয়ে নিন ওই পানীয়। এছাড়া গুলঞ্চের রস কিংবা গুঁড়ো করেও খেতে পারেন।

Advertisement

শুধু ইউরিক অ্যাসিডের ক্ষেত্রেই নয় গুলঞ্চ অত্যন্ত কাজের। রোজ গুলঞ্চ খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। বাড়ে হজমক্ষমতা। লিভারের জন্যও উপকারি।  

আরও পড়ুন- বয়স বাড়লেও ছাপ পড়বে না মুখে, বাড়িতেই বানান ৫ কোরিয়ান ফেসস্ক্রাব

POST A COMMENT
Advertisement