সন্তানদের প্রতি বাবামায়ের দুর্ব্যবহারের প্রভাব হতে পারে খুবই খারাপ। ইংরেজিতে একে বলা হয় ব্যাড পেরেন্টিং (Bad Parenting)। কেউ কেউ এই বিষয়ে সচেতন নন। তবে অনেকেই আছেন, যাঁরা এই বিষয়ে জেনেও গুরুত্ব দেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্যাড পেরেন্টিং-র লক্ষণ ও এর কুপ্রভাব।
ব্যাড পেরেন্টিং-র লক্ষণ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রয়োজনের তুলনায় শিশুদের বেশি বকাঝকা করা ব্যাড পেরেন্টিং-র লক্ষণ। এছাড়া সকলের সামনে ছেলেমেয়েকে কড়া অনুশাসনে থাকতে বাধ্য করাও এক ধরণের ব্যাড পেরেন্টিং-র লক্ষণ। কথায় কথায় শিশুকে পরামর্শ দেওয়া এবং কোনও কাজে উৎসাহ না দেওয়াও এর লক্ষণ বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ভালবেসে না বোঝালে তারা মানসিকভাবে বাবামায়ের থেকে দূরে সরে যেতে পারে।
কিছু কিছু বাবামায়েরা সন্তানদের জন্য সম্পূর্ণ গাইডলাইন তৈরি করে রাখেন। আর শুধু তাই নয়, যে কোনও বিষয়ে অপর শিশুদের সঙ্গে নিজের সন্তানের তুলনা করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিজের ছেলেমেয়ের অনুভূতিকে গুরুত্ব না দেওয়া ব্যড পেরেন্টিং-এরই লক্ষণ।
আবার শিশুদের সামনে ভুল উদাহরণ তৈরি করা বা তাকে অতিরিক্ত প্রশ্রয় দেওয়ায় ঠিক নয়। একইসঙ্গে সন্তানদের বিশ্বাস না করা এবং তাদের জন্য আলাদা করে সময় বের না করাও ঠিন নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্যাড পেরেন্টিং-র ফলাফল
ব্যাড পেরেন্টিং-র খুব খারাপ প্রভাব পড়ে শিশুদের মনে। এমনকী তারা সমাজবিরোধী মানসিকতারও হয়ে উঠতে পারে। বাড়তে পারে শিশুর মানসিক চাপ। বেড়ে যেতে পারে জেদ। পাশাপাশি আসতে আসতে হারিয়ে যেতে পারে শিশুর কোমল স্বভাব।
কীভাবে হবেন ভাল বাবামা?
ছেলেমেয়ের সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তুলতে বাবামায়েদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তাই বিশেজ্ঞদের পরামর্শ, শিশুদের ওপরে কখনও চিৎকার ও তাদের মারধর করা উচিত নয়। শিশুরা ভুল করলে ঠান্ডা মাথায় বোঝান। তাদের কথাও মন দিয়ে শুনুন। ভাল কাজের জন্য পুরস্কার এবং অন্যায়ের জন্য শাস্তি দিন। তবে মনে রাখবেন শাস্তি যেন গায়ে হাত তোলা না হয়।