ফলের মধ্যে কলা খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ কম! কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে খনিজ, ভিটামিন। কলা স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার। যে কারণে সারা বিশ্বে পছন্দের ফলের মধ্যে অন্যতম। তবে কলা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও কয়েকজনের ক্ষেত্রে তা মোটেও নয়। শরীরে ৫ সমস্যা থাকলে একদম কলা খাওয়া উচিত নয়। তাঁদের কলা এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
শরীরে শক্তি জোগাতে কলার জুড়ি মেলা ভার! গরমে রোদ থেকে ফিরে কলা খান। তৎক্ষণাৎ শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে। ওজন কমে গেলেও কলা খেতে পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাতেও উপযোগী কলা। কলায় থাকে মিনারেল, ভিটামিন ও ফাইবার। কলায় আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে মাঝারি মাপের কলায়। কলা হৃদযন্ত্র জোগায়। খেলাধুলো ও শরীরচর্চা যাঁরা করেন তাঁদের শরীরকে চাঙ্গা ও উদ্যমী করে তোলার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী কলা। তবে সবার জন্য কলা উপকারী নয়।
আরও পড়ুন- এই ৪ কারণে কম বয়সে হাই ব্লাড প্রেসার, শরীরে যে লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন
ডায়াবেটিসের সমস্যা- কলায় স্বাভাবিকভাবেই চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। যে কারণে শরীরে বেশি সুগার থাকলে কলা খাওয়া উচিত নয়। ডায়াবেটিস রোগীরে কলা খাওয়া উচিত নয়। পাকা কলা তো একদম খাবেন না।
কিডনির সমস্যা- কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। যা কিডনির সমস্যা থাকা ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। যাঁদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাঁদের কলা খাওয়া উচিত নয়। আর যাঁরা কলা খান নিয়মিত, বেশি খাবেন না, কারণ কলায় রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম। যা কিডনির সমস্যা তৈরি করে।
আরও পড়ুন- হার্টের অসুখের এই ৪ লক্ষণ দেখা দেয় চোখেই, বুকে ব্যথার আগেই জানুন
কোষ্ঠকাঠিন্য- যাঁদের প্রায়ই পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের অসুখ থাকে,তাঁদের কলা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। কলা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার পরিবর্তে বাড়িয়ে দেয়।
অ্যালার্জি- যাঁদের কলায় অ্যালার্জির ধাত আছে তাঁদের কলা পুরোপুরি এড়িয়ে চলা উচিত। আমবাত, ফুলে যাওয়া, শ্বাস নিতে অসুবিধা এবং অ্যানাফিল্যাক্সিসের মতো গুরুতর অসুখ হতে পারে কলা খেলে।
হাঁপানি- হাঁপানি রোগীদেরও কলা খাওয়া উচিত নয়। কারণ তাঁদের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। যাঁদের হাঁপানি আছে, তাঁদের ভুল করেও কলা খাওয়া উচিত নয়।