জীবনযাত্রার বদলের সঙ্গে সঙ্গে হার্টের রোগ ক্রমশ বাড়ছে। হার্ট অ্যাটাকে মৃতের সংখ্যাও কম নয়! একটা সময় ৪০ বছর বয়সের পর হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা ছিল। এখন আর তা নেই। ৩০ বছরের কম বয়সেও হতে পারে হার্টের অসুখ। এমনকি ফিটনেস সচেতন সুস্মিতা সেনও হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছে। ফলে রোজ শরীরচর্চা করলেই সুস্থ থাকা যাবে না। বরং ডায়েটে পরিবর্তন দরকার। আর হার্ট অ্যাটাকে এড়াতে জানা দরকার এর উপসর্গ।
হৃদরোগের সবচেয়ে বড় উপসর্গ হল বুকে ব্যথা। তবে অসুখ গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছনোর পর তা হয়। তবে তার অনেক আগে হৃদরোগের লক্ষণ দেখা দেয় চোখে। চোখ হল হৃৎপিণ্ডের আয়না। হৃৎপিণ্ডে সমস্যা হলে চোখে তার প্রতিফলন ঘটে। চোখের কিছু পরিবর্তনের দিকে নজর দিলে সময়ের আগেই হৃদরোগ ধরা যায়।
রেটিনার বদল- চোখের মণির পিছনে রয়েছে সংবেদনশীল রেটিনা। উচ্চ রক্তচাপে তার ক্ষতি হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ রেটিনায় রক্ত সরবরাহকারী ক্ষুদ্র রক্তনালীগুলিকে দুর্বল করে দিতে পারে। সেগুলো ভেঙে রেটিনায় রক্তপাত হতে পারে।
আরও পড়ুন- শিঙাড়ার আলু বিষের সমান! শরীরে ৬ সমস্যা থাকলে ক্যানসার হতে পারে
চোখের কোণে হলুদ আভা- কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি মারাত্মক আকার ধারণ করে। উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণও চোখে ধরা পড়ে। কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের মতো খারাপ আঠালো পদার্থের বৃদ্ধি ধরা পড়ে চোখের কোণে হলুদ রঙের আভায়। তাই চোখের কোণায় হলুদ রং দেখতে পেলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা দরকার।
ছানি- ছানির কারণে চোখের লেন্সে ধোঁয়াশা হয়ে যায়। ফলে দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণভাবে চলে যেতে পারে। NCBI-তে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ছানি আক্রান্ত রোগীদের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই এটি হৃদরোগের লক্ষণও হতে পারে।
চোখের দৃষ্টিশক্তি- হৃৎপিণ্ডের দিকে যাওয়া শিরায় ব্লকেজ থাকলে চোখও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ, চোখ পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত ও অক্সিজেন পায় না। কোষগুলি মরতে শুরু করে। যে কারণে দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন- টবেই লাগান ২ আয়ুর্বেদিক গাছ, সকালে পাতা খেলে হু হু করে কমবে সুগার
হার্ট অ্যাটাক এড়াতে যা করবেন
ভিতর থেকে ফিট থাকলে হার্ট অ্যাটাকে ঝুঁকি এড়ানো যায়। শুধু নিয়ম করে শরীরচর্চাই নয়, বরং জীবনযাপনের বদলও করতে হবে।
প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমোতে হবে। ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম আবশ্যক।
সঠিক খাওয়দাওয়া দরকার। ফাইবার, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট পরিমিত খান।
তেলেভাজা, মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন।
হার্ট ও চোখের জন্য সুষম খাবার খান।
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা শরীরচর্চা করুন।
সম্পূর্ণভাবে ধূমপান বন্ধ করুন।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন।
নিয়মিত হার্ট পরীক্ষা এবং চোখের চেকআপ করাতে থাকুন।