সোমবার ইলিশ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞার শেষ দিন। তার কয়েকদিন আগে থেকেই ইলিশ ধরতে নেমে গিয়েছে মৎস্যজীবীরা। প্রায় পঞ্চাশটির বেশি মাছ ধরার বোট সাগরে গিয়েছে। শুধু বাংলাদেশি ট্রলার গেলেও হতো, সঙ্গে ভারতীয় ট্রলারও গিয়েছে মাছ ধরতে বলে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে।
ভারতীয় ট্রলারের ভূত দেখছে বাংলাদেশ
আরও দুশো বোট মাছ ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর। তবে বাংলাদেশের জলসীমানা পার করে কিছু ভারতীয় বোটও মাছ ধরতে ঢুকেছে বলে অভিযোগ করেছেন মৎস্যজীবীরা। যদিও বাংলাদেশ সরকার বা প্রশাসনের তরফে তা নিয়ে কোনও সরকারি তথ্য দেওয়া হয়নি। বাঁশখালির শেখেরখাল, চাম্বল, গন্ডামারা, ছনুয়া, বাহারছড়া, সরল, খানখানাবাদ ও কাথরিয়া ইউনিয়নের উপকূল এলাকায় ভারতীয় বোট ঢুকছে বলে দেখা গিয়েছে।
বিদেশি বোটকে মাছ ধরা থেকে রোখা প্রয়োজন
ফিশিং বোটের মালিকরা ওদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সাগরে প্রচুর ভারতীয় ট্রলার ঢুকেছে। ওইসব ট্রলার বাংলাদেশের মাছ ধরে ভারতে নিয়ে আসছে। ভারতে মাছ ধরায় কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। দেশি বোটের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু ভারতীয় বোট মাছ নিয়ে গেলে তাদের পরে কিছু বলা যাবে না। তাই আগেই মাছ ধরা আটকাতে হবে। তবে ট্রলার সাগরে গেলেও মাছ ধরবে না, মাছ ধরবে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেই বলে জানা গিয়েছে।
নিরাপত্তা নেই, তাই আগেই সমুদ্রে ট্রলার
বাঁশখালি সমুদ্র উপকূলে ৩৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা যখন থাকে, তখন প্রতি বছর নানা নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়, এ বছর তা হয়নি বলেই দাবি জেলেদের। যার কারণে মাছ ধরা ট্রলারগুলি নিষেধাজ্ঞা ওঠার আগেই সাগরে হাজির হয়েছে।
৩ অক্টোবর থেকে বন্ধ রয়েছে ইলিশ ধরা
ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে সরকারিভাবে ৩ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বাংলাদেশের তরফে। এ ছাড়াও সরকারের আরও নিদের্শনা রয়েছে মাছ বিক্রি, বিপণন, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে। বরফকল বন্ধ থাকবে। অথচ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার মৌসুমে প্রায় দিনই সন্ধ্যা হলেই বাঁশখালী প্রধান সড়ক হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হয়েছে। যা প্রধান সড়কের বিভিন্নস্থানে ব্যক্তিগতভাবে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো তদারকি করলে স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।