bel sharbat benefits: গ্রীষ্মে প্রখর রোদ এড়ানো খুবই জরুরি। না হলে রোদের কারণে জলশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে জ্বালাপোড়া, বুকে জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা হতে পারে। এসব সমস্যা দূর করতে গরমে বেলের শরবত (Bel Juice) খাওয়া উচিত। এই গ্রীষ্মের পানীয় খুবই স্বাস্থ্যকর। বেল ফল বিলভা নামেও পরিচিত, যা মূলত ভারতে উৎপাদিত হয়। পেটের তাপ দূর করতে এই ফলটি একটি মহৌষধ। এর শরবত খেয়ে পেট ঠান্ডা করতে পারেন।
আগে জেনে নিন বেল খাওয়ার উপকারিতা
বেল ফল খুবই পুষ্টিকর। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, জল, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এটি পাকস্থলী ও হজমের জন্য চমৎকার বলে মনে করা হয়।
বেলের শরবত খাওয়ার উপকারিতা (Bel Juice Benefits)
বেল শরবতে শীতল, সতেজ, পুষ্টিকর, রেচক প্রভৃতি গুণ রয়েছে। যা এটিকে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ার জন্য টনিক করে তোলে।
অন্ত্র খুলবে
হজমশক্তি ব্যাহত হলে অন্ত্রের সংকোচন কমে যায়, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সৃষ্টি করে। গ্রীষ্মে জলশূন্যতা এই সমস্যাটিকে মারাত্মক করে তুলতে পারে। কিন্তু বেল অন্ত্রকে শিথিল করে এবং সংকোচনকে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে।
হাড়ের শক্তি বাড়ায়
পাকস্থলী ছাড়াও বেল ফলের শরবত হাড়ের জন্য উপকারী। এতে থাকা ক্যালসিয়ামের মাত্রা শারীরিক গঠন মজবুত রাখতে সাহায্য করে। এই পানীয়টি তাৎক্ষণিক এনার্জি দিতেও পরিচিত।
রক্ত বৃদ্ধি পাবে
বেলে রয়েছে ভিটামিন বি২, যা শারীরিক বিকাশে সাহায্য করে। এই পুষ্টিগুণ লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সহায়ক। যার কারণে রক্তের অভাব দূর হয়।
ইমিউনিটি বুস্টার
বেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। গ্রীষ্মকালে বেলের শরবত খেলে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসজনিত সংক্রমণ এড়াতে সাহায্য করবে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে
ট্রাইগ্লিসারাইড, সিরাম এবং টিস্যু লিপিড প্রোফাইল বেলের রস দ্বারা প্রভাবিত হয়। ফলস্বরূপ, রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত বেলের শরবত খাওয়া কাজের।
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য
বেলের শরবতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে তাই এটি স্ফীত অঙ্গগুলিকে শিথিল করে এবং প্রশমিত করে। আর্থ্রাইটিস এবং গাউটের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় বেল ফলের পাল্প অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। কারণ এর প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।