সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকার প্রধান শর্ত হচ্ছে সুষম খাবার গ্রহণ। সুষম খাদ্যের উপাদানগুলো হলো আমিষ, শর্করা, স্নেহ, ভিটামিন, মিনারেল ও জল। আমিষের একটি ভালো উৎস হলো মাছ। মাছের মধ্যে আবার ছোট মাছ অতুলনীয় পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। নদীমাতৃক বাংলায় বর্ষায় গ্রামে-গঞ্জের পুকুর, মাঠ, খাল-বিল ও নদ-নদীতে অনেক ছোট মাছ পাওয়া যায়। এসব ছোট মাছ আকারে ছোট হলেও পুষ্টিগুণ কম নয়। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোট মাছে আমিষের পরিমাণ থাকে ১৪-১৯ ভাগ। মাছের আমিষ হলো উন্নত মানের আমিষ। ছোট মাছের মধ্যে পুঁটি মাছ বেশ পুষ্টিকর সঙ্গে খেতেও ভাল। এই মাছ দিয়েই তৈরি করে ফেলুন দারুণ এক খাবার। রইল পুঁটি মাছের তেলঝাল রেসিপি।
উপকরণ
পুঁটি মাছ, কাঁচা লঙ্কা, সর্ষের তেল, ঝিঙে টুকরো করে কাটা, বেগুন টুকরো করে কাটা, নুন, হলুদ গুঁড়ো ও রাঁধুনি
পদ্ধতি
-প্রথমে মাছগুলোকে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নুন-হলুদ দিয়ে মাখিয়ে নিন।
-এর পর অল্প তেলে সাঁতলে নিয়ে মাছগুলো তুলে রেখে দিন। কড়া ভাজা একেবারেই হবে না।
-অন্য একটা বাটিতে ঝিঙে ও বেগুনের টুকরো অল্প হলুদ গুঁড়ো-নুন-চিনি মাখিয়ে রেখে দিন।
-যে কড়াইতে মাছ সাঁতলে রেখেছিলেন তাতে কিছুটা তেল দিয়ে সামান্য রাঁধুনি ফোড়ন দিন।
-এবার ওই তেলে দিন ঝিঙের টুকরোগুলো। ভাল করে নেড়েচেড়ে নিন।
-দেখবেন সবজি থেকে জল ছাড়তে শুরু করেছে। এরপর দিন চেরা কাঁচা লঙ্কাগুলো।
-খানিক্ষণ ভেজে নেওয়ার পর যোগ করুন বেগুনের টুকরো।
-এর পর ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। সবজি সেদ্ধ হয়ে জলটা শুকিয়ে গেলে সাঁতলানো মাছগুলো দিয়ে দিন।
-ঢাকা খুলে কাঁচা সর্ষের তেল দিয়ে দিন। ব্যাস তৈরি পুঁটির তেলঝাল।
-গরম ভাতের সঙ্গে খেতে কিন্তু জব্বর। এই মাছ নিয়ম করে বাচ্চাদেরও খাওয়ান। এতে তাদের রুচি ফিরবে আর শরীর থাকবে সুস্থ।