Best Cooking Oil for Heart: মানুষ আজকাল হৃদরোগ (Heart Attack) সংক্রান্ত নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। হার্টের সমস্যা যে কোনও বয়সেই হতে পারে। হার্টের রোগ রুখতে গ্রিলিং, বেকিং, স্টিমিং এবং রোস্টিং এর মত কৌশল রয়েছে। এই ধরনের খাবার হার্টের জন্য ভাল ঠিকই, কিন্তু তেল ছাড়া খাবার বেশিদিন না খেয়ে থাকা খুব কষ্টকর। তেলের রান্না খেয়েও সুস্থ থাকা যায়। শুধু, সঠিক তেল ও পদ্ধতি বেছে নিতে হবে। হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য সবচেয়ে ভাল তেল (Oil) কোনটি? কীভাবেই বা খাবেন?
১. অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল শরীরের জন্য উপকারী। তবে এটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী বলে মনে করা হয়। হার্ট সুস্থ রাখতে রান্নায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। অলিভ অয়েলে পলিফেনল নামক যৌগ থাকে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। এ ছাড়া অলিভ অয়েলে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও পাওয়া যায়, যা ওজন কমাতে সহায়ক। অলিভ অয়েল হার্টের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে।
২. সর্ষের তেল
বেশিরভাগ মানুষ সরষে তেল ব্যবহার করেন। সরষে তেল হার্টের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। সরষের তেল যেমন হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, তেমনই জয়েন্ট এবং শরীরের অন্যান্য অংশের জন্যও উপকারী। আসলে, সরষের তেলে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা হার্টের জন্য উপকারী। এছাড়াও, এগুলিতে ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটি হজমশক্তিরও উন্নতি ঘটায়।
৩. রাইস ব্র্যান অয়েল
রাইস ব্র্যান অয়েল হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। হার্টের উন্নতির জন্য রাইস ব্র্যান অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। রাইস ব্রান অয়েলে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের সঠিক ভারসাম্য রয়েছে। তাই এটি হার্টকে সুস্থ রাখে। এছাড়াও রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা ভারসাম্য রাখে।
৪. সূর্যমুখী তেল
সূর্যমুখী তেল হার্টকে সুস্থ রাখতে খুবই উপকারী। আপনার হার্ট সুস্থ রাখতে আপনি সূর্যমুখী রান্নার তেল ব্যবহার করতে পারেন। সূর্যমুখী তেল হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন ই, এটিও হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৫. তিসির তেল
ফ্ল্যাক্সসিড তেল হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী হতে পারে। আপনার হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে ডায়েটে তিসির তেল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। ফ্ল্যাক্সসিড তেল কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও, রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করতে পারে।