শীতের আগমন হয়েছে বহুদিন আগেই, অথচ কাজের চাপে,সময়ের অভাবে ঘুরতে যেতে পারছেন না? এই শীতের মরশুমে উপভোগ করতে চান দিন- দুয়েকের ছুটি, তাও আবার কাছাকাছি? তাহলে আর দেরি না করে বেরিয়ে পড়ুন, আজই। কলকাতা থেকেই অনায়াসে ২-৩ ঘণ্টার পথ অতিক্রম করে চলে যান সমুদ্রের ধারে অথবা ঘন গভীর অরণ্যে।
সুন্দরবনের শান্ত সুন্দর ম্যানগ্রোভ অরণ্য থেকে বিষ্ণুপুরের ঐতিহাসিক পোড়ামাটির মন্দির কিংবা দীঘা, মন্দারমণির সমুদ্র সৈকত। কলকাতার একেবারে কাছেই রয়েছে সবকিছু। যেখানে গিয়ে অনায়াসে থাকা যায় ২-৩ দিন।
ব্যস্ত শহরের চেনা কোলাহল থেকে অনেক দূরে, যেখানে গিয়ে ভুলে থাকা যায় পিছুটান, কর্মব্যস্ততা। রইল এমনই কিছু গন্তব্যের ঠিকানা, যেগুলি কলকাতার কাছেই অবস্থিত। যেখানে গেলে শহরের কোলাহল থেকে দূরে সময় কাটাতে পারবেন কম খরচে।
সুন্দরবন
দিন দুয়েকের ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য থেকে। সুন্দরবন ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের আওতায় পড়ে। সুন্দরবন, পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, কুমির, বিভিন্ন ধরনের পাখি দেখার ফাঁকেই নৌকা চড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাড়িয়ে উপভোগ করার আদর্শ জায়গা হচ্ছে সুন্দরবন।
দীঘা
কলকাতা থেকে মাত্র ১৮০ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে দীঘার সমুদ্র-সৈকত। সপ্তাহ শেষে এক- দু'দিনের ছুটিতে অনায়াসে ঘুরে আসতে পারেন দীঘা থেকে। সমুদ্রের ধারে বসে উপভোগ করতে পারেন সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত। ভ্রমনপ্রিয় বাঙালির কাছে শহরের ব্যস্ততা কাটিয়ে ঘোরার আদর্শ জায়গা হচ্ছে দীঘা।
মন্দারমণি
কলকাতা থেকে মাত্র ১৭০ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে মন্দারমণি। এই নির্মল সমুদ্র-সৈকতে গিয়ে বঙ্গোপসাগরের ধারে বসে অনায়াসে দু'দিন ছুটি কাটিয়ে আসা যায়। দীঘা থেকে মন্দারমণি একেবারেই কাছে। চাইলে দু'দিনের ছুটি নিয়ে একদিন দীঘা ও একদিন মন্দারমণিতে কাটাতে পারেন।
শান্তিনিকেতন
এই জায়গা বিখ্যাত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবাসস্থল হিসেবে। এখানেই রয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। শান্তিনিকেতনের শান্ত, মনোরম পরিবেশ মুগ্ধ করবে বারেবারে ফিরে আসার জন্য। এছাড়াও, এখানকার সঙ্গীত, নৃত্য, শিল্প ও ঐতিহ্যের সঙ্গেই মিশিয়ে ফেলতে চাইবেন নিজেকে।
বিষ্ণুপুর
ঐতিহাসিক শহর বিষ্ণুপুর বিখ্যাত তার পোড়ামাটির মন্দির ও ঐতিহ্যের জন্য। এখানে এসে রাসমঞ্চ মন্দির এবং পোড়ামাটির মন্দির দেখলে মুগ্ধ হবেন। হাতে এক -দু'দিনের ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন বিষ্ণুপুর থেকে।
মুকুটমণিপুর
কলকাতা থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মুকুটমণিপুর অসম্ভব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা। পাহাড়ে ঘেরা মুকুটমণিপুরে রয়েছে কংসাবতী বাঁধ। নদীতে নেমে বোটিং করতে করতে চারপাশের সৌন্দর্য উপভোগও করতে পারেন।