মরশুমের সেরা ইলিশ ধরা পড়ল বাংলাদেশের জেলেদের জালে। কথায় আছে দান করলে তা অন্যভাবে ফিরে আসে। এও কি তাই। ভারতে ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই দুদিন আগে বাংলাদেশের জেলদের জালে ধরা পড়েছে আড়াই কেজির ইলিশ। ফলে খুশি সকলেই।
জেলের কাছ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হয় ইলিশটি
ওদেশের বরগুনার তালতলির পায়রা নদীতে ধরা পড়েছে আড়াই কেজি ওজনের একটি ইলিশ। শনিবার সকালে ছোটবগী গ্রামের এক জেলে মাছটি জালে ধরেন। বাজারে নিয়ে গিয়ে ডাক করে সাড়ে তিন হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করেন আকবর নামের ও জেলে। পরে মাছটি কিনে নেন ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন।
পাইকারিতে দাম ওঠে ৪ হাজার
স্থানীয় বাজারে ইলিশ বিক্রি করবেন কি, তা দেখতেই লোকের ভিড় জমে যায়। মাছটি এক নজর দেখার জন্য লোকজন ভিড় করে। আনোয়ার হোসেন মাছটির দাম হাঁকেন ৪ হাজার টাকা। শেষমেষ কত টাকায় তিনি মাছটি বিক্রি করেছেন তা অবশ্য জানা যায়নি।
এটাই এ মরশুমের সর্বোচ্চ আকার
মাছ ব্যবসায়ী আনোয়ার ওদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এর আগে এ মরশুমে সর্বোচ্চ ১ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ধরা পড়েছিল। আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ বিগত দু-তিন বছরে দেখা যায়নি বলে তিনি জানান।
এত বড় মাছে মোহিত গোটা জেলা
তিনি জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে নটার দিকে পায়রা নদীতে এত বড় ওজনের ইলিশ দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। তাই দেরি না করে দ্রুত মাছটি কিনে বিভিন্ন যায়গায় যোগাযোগ করতে থাকি। অনেকেই উৎসাহ দেখান মাছটি কেনার ব্যাপারে বলে তিনি জানিয়েছেন। মৎস্য দফতরের কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন, এত বড় মাছ আর কোথাও পাওয়া যায়নি।
আরও বড় ইলিশ পাওয়ার আশা
এ মরশুমে কয়েকটি বড় ইলিশ ধরা পড়েছে। তবে আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ পাওয়া যায়নি । আজই প্রথম জানতে পারলাম পায়রা নদীতে আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ ধরা পড়েছে। জেলে আর মৎস্য ব্যবসায়ীদের ধারণা এ রকম বড় ইলিশ পায়রায় আরও পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের মতে, ৬৫ দিন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সুফল হলো এই বড় ইলিশ।
সারারাত জাল ফেলে ভোরে ওঠে ইলিশটি
জানা গিয়েছে গত শনিবার রাতে ছোটবগী এলাকার তালুকদার কান্দা এলাকার আকবর মাঝি পায়রা নদীতে মাছ ধরতে যান। রাতে তেমন একটা মাছ না পাওয়ায় তিনি অনেকটা হতাশ হন। রাত শেষে ভোরের দিকে জাল ফেলেন নদীতে। সকাল নয়টার কিছু আগে নদীতে জাল তুলে দেখেন, ১ টি বড় ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে।