নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। তা সত্ত্বেও হজমশক্তি উন্নত হচ্ছে না! প্রতিদিন খাবার খাওয়ার পর বদহজম, পেটে অস্বস্তি, পেট ফাঁপার সমস্যা লেগেই রয়েছে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করেও কেন এমনটা কেন হচ্ছে? এর পিছনে রয়েছে কয়েকটি অভ্যাস। যা ত্যাগ করলে স্বাস্থ্যকর জীবন কাটাতে পারবেন। খাওয়ার পর বুকে ব্যথা হওয়ার কারণ অ্যাসিড রিফ্লাক্স করে। খাদ্যনালীতে জমা হয় অ্যাসিড। কীভাবে তার প্রতিকার করবেন-
১। খাওয়ার সময় জল খাওয়া- খাওয়ার সময় জল খাওয়া উচিত নয়। খেতে খেতে জল খেলে বদহজম হতে পারে। খাওয়ার পর পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয়। হজমের জন্য এই অ্যাসিড দরকারি। বেশি জল খেলে এই অ্যাসিডের ঘনত্ব কমে যায়। দেখা দেয় হজমের সমস্যা। তাই খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে ও এক ঘণ্টা পর জল খান।
২। খেয়েদেয়ে ঘুম- অনেকে খেয়েদেয়েই ঘুম দেন। এটা ঠিক নয়। খাওয়ার পর ঘণ্টাখানেক সময় পর ঘুমোন। মাঝে মাঝে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।
৩। ঘুমোনোর ধরন- ঘুমোনোর সময় পিঠে বা বুকের ভরে শোয়া উচিত নয়। বাঁ দিকে আড়াআড়ি করে ঘুমোন। পিঠের উপর ভর দিয়ে ঘুমোলো অ্যাসিড রিফ্লাক্স হতে পারে।
৪। খাওয়ার ধরন- যা খাবেন, ভালো করে চিবিয়ে নিন। এতে আপনার অম্বল হবে না।
৫। প্রোটিন ও স্টার্চ- প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ ও প্রোটিন একসঙ্গে খেলে বদহজম ও অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা হয়। স্টার্চ তাড়াতাড়ি হজম হয়। প্রোটিনের পরিপাক হয় ধীর গতিতে। পাকস্থলীতে সব কিছুই একসঙ্গে মিশে থাকে, তাই যতক্ষণ না প্রোটিন পরিপাক সম্পূর্ণ হচ্ছে, ততক্ষণ স্টার্চও হজম হয় না। পাকস্থলীতে স্টার্চ থাকলে গ্যাস হয়। তাই প্রচুর প্রোটিন বা মাংস একসঙ্গে খাবেন না।
৬। ঠান্ডা জল নয়- খেতে বসে তেষ্টা পেলে স্বাভাবিক তাপমাত্রার জল খান। ঠান্ডা জল খাবেন না। রক্তনালী সঙ্কোচন করে ঠান্ডা জল। তাই খাবার হজমে ও প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ শোষণে দেরি হয়। সেই সঙ্গেই ঠান্ডা জল খাবারে থাকা ফ্যাট শরীরে জমিয়ে দেয়। সেই ফ্যাট হজম করা যায় না। ফ্যাট জমতে জমতে শুরু হয় পেট ফাঁপা, বদহজমের সমস্যা।
আরও পড়ুন- গ্রামবাংলায় খাওয়া হয় এই শাক, ক্যান্সার-কোলেস্টেরলের মোক্ষম দাওয়াই