আরামদায়ক হয়েছে জীবনযাত্রা। আগের মতো আর পরিশ্রম করতে হয় না মানুষকে। বদলে গিয়েছে খাদ্যাভ্যাসও। খাওয়াদাওয়ার ঠিক নেই। ফলে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা অসুখ। এর মধ্যে অন্যতম ডায়াবেটিস। মধুমেহ এমন একটি দীর্ঘস্থায়ী অসুখ যার জন্য দায়ী মানুষের জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাস। এছাড়াও একাধিক কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে। যেমন- হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, হৃদরোগ, ধূমপান,শারীরিক পরিশ্রমের অভাব এবং স্থূলতা। ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে। দীর্ঘদিন রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকলে তা হার্ট, কিডনি ও ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, ফাস্টিং ব্লাড সুগার ৯০mg/dl বা তার কম রক্তে শর্করা থাকলে তা স্বাভাবিক। খাওয়ার পর ১৪০mg/dl পর্যন্ত স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সারাদিন রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে উদ্বেগজনক লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। চলুন জেনে নিই ডায়াবেটিসের মাত্রা বিপদের পর্যায়ে পৌঁছলে শরীরে কী কী লক্ষণ দেখা যায় এবং সারাদিনে রক্তে শর্করার মাত্রা কী হওয়া উচিত।
ডায়াবেটিসের লক্ষণ যা বলে দেয় যে রক্তে শর্করা বিপদের মাত্রা অতিক্রম করেছে,
১। তৃষ্ণা বৃদ্ধি এবং মুখ শুকনো
২। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
৩। ক্লান্ত হওয়া
৪। ঝাপসা দৃষ্টি
৫। হঠাৎ ওজন হ্রাস
৬। শুষ্ক মুখ
৭। প্রস্রাবে সংক্রমণ
ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য শরীরকে সচল রাখা এবং নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া খুবই জরুরি। নিয়মিত ব্লাড সুগার পরীক্ষা করে রক্তে শর্করার মাত্রা দেখা দরকার।
বয়স অনুযায়ী সারাদিন রক্তে শর্করার মাত্রা কেমন হওয়া উচিত-
বয়স | ফাস্টিং সুগার | খাওয়ার আগে সুগার | খাওয়ার পর সুগার | ঘুমোনোর সময় সুগার |
১৩ থেকে ১৯ বছর | ৭০ থেকে ১৫০mg/dL | ৯০ থেকে ১৩০ mg/dL | ১৪০ mg/dL | ৯০ থেকে ১৫০ mg/dL |
২০ বছরের বেশি | ৭০ থেকে ১০০ mg/dL | ৭০ থেকে ১৩০ mg/dL | ১৮০ mg/dL-র কম | ১০০ থেকে ১৪০ mg/dL |
৪০ থেকে ৫০ বছর | ৯০ থেকে ১৩০ mg/dL | ৭০ থেকে ১৩০mg | খাবারের পরে ১৪০ mg/dl-এর কম | রাতের খাবারের পরে ১৫০ |
আরও পড়ুন- নিরামিষ খান? মাছ-মাংসের চেয়েও বেশি প্রোটিন এই ১০ খাবারে