বক ফুলের উপকারিতাগ্রাম বাংলার চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে নানা গাছের মধ্যে হামেশাই দেখা মেলে এই ফুল গাছের। এই ফুল পুজো বা ঘর সাজানোর কাজে একেবারেই ব্যবহার হয় না, বরং এই ফুলের বড়া মানুষের খাদ্য তালিকায় স্থান পায়। কিছুটা শিম আকৃতির এই ফুল সাধারণত সাদা রং এরই দেখা যায় বাজারে। সকলের কাছে বকফুল নামে জনপ্রিয়তা লাভ করলেও, এই ফুলেও রয়েছে বিশেষ গুণ।
নানা রোগের যম
শীতকালেই এই বকফুল বেশি দেখা যায়। বড়া করে খেতে বেশ ভালই লাগে। কিন্তু এই বকফুল কিন্তু নানা রোগের যম। তাই এই ফুলের চাহিদাও বেশি বাজারে। সজনে, কুমড়ো ফুলের পাশাপশি বকের মতো দেখতে ফুলের বাজার বেশ। ব্যথা, চুলকানি, গ্যাস্ট্রিক আলসার নিরাময়ে এই ফুলের জুড়ি মেলা ভার।
পুষ্টিতে ভরপুর
বক ফুলের মধ্যে ফাইবার, ক্যালোরি, প্রোটিন, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন সি, খনিজ এসব রয়েছে, যা শরীরের নানা কাজে সাহায্য করে। বক ফুলের মধ্যে আছে আয়রন, ভিটামিন বি। যে কারণে এই ঋতু পরিবর্তনের সময় এই ফুল খেতে পারলে খুবই ভাল।
কোষ্ঠকাঠিন্য-পাইলস রোগ দূর করে
গ্যাসট্রিক আলসার প্রতিরোধ করতেও ভূমিকা রয়েছে এই ফুলের। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, কৃমির সমস্যায়, পাইলস রুখতেও কাজে লাগানো হয় বক ফুল।
ক্যান্সারের জন্য ভাল
ক্যান্সার প্রতিরোধে এই ফুল অত্যন্ত উপকারী বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। পুষ্টিবিদ অভিজিৎ সেন বলেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় ঋতুকালীন নানা সবজি বা উৎপাদিত সবজি খাওয়া ভাল। যার মধ্যে অন্যতম এই বকফুল। যা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং নানা রোগের উপশমে কার্যকারী। তবে রোগ চিকিৎসায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
বকফুলের রেসিপি
সাধারণত বেসন আর চালগুঁড়ি একসঙ্গে মিশিয়ে বকফুলের বড়া বানিয়ে খাওয়া হয়। এছাড়াও বকফুল দিয়ে বানিয়ে নেওয়া যায় নিরামিষ পোস্ত। এই তরকারি দিয়ে গরম ভাত খেতে খুব ভাল লাগে।