বর্তমান সময়ে প্রত্যেকেরই ব্যস্ত জীবন। পাশাপাশি প্রতিটি মানুষই নিজের ক্রমবর্ধমান ওজনের জন্য চিন্তিত থাকেন। শরীরের স্থূলতা অনেক সময় রোগেরও কারণ হতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। স্থূলতা থেকে মুক্তি পেতে, অনেকে জিমে সময় কাটান। কিন্তু তারপরেও ওজন কমে না। এক্ষেত্রে সঠিক ডায়েট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ ওজন কমাতে সঠিক ডায়েট অত্যন্ত কার্যকরী। চলুন জেনে নেওয়া যাক ওজন কমাতে সকালের জলখাবার, দুপুর এবং রাতের খাবারে কী খাওয়া উচিত?
জলখাবার
রাভা ধোসা - অনেকেই প্রাতঃরাশের পরোটা বা ভাজাভুজি খেতে পছন্দ করেন। তবে এর পরিবর্তে রাভা ধোসা খেতে পারেন। রাভা ধোসা ওজন কমাতে সহায়ক। এটি বানাতে এক বাটি টক দই নিন। তাতে ২ বাটি রাভা দিন। এরপর তাতে কিছুটা জল মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এবার সর্ষে, কারিপাতা, চানা ডাল এবং এক চিমটে নুন দিন। এবার একটি প্যান গরম করুন। তাতে ওই পেস্টটি ঢেলে ছড়িয়ে দিন। তাহলেই প্রস্তুত হয়ে গেল রাভা ধোসা।
ডিম চাট - ডিম চাট প্রোটিন, গুড ফ্যাট এবং ভিটামিনে সমৃদ্ধ। সকালে এটিও খেতে পারেন। এটি ওজন কমাতে খুবই কার্যকরী। এটি খেলে সারাদিন শরীরে এনার্জি থাকবে। এছাড়া, তাড়াতাড়ি খিদেও পাবে না।
মধ্যাহ্নভোজ
বেসন-জোয়ান পরোটা - ওজন কমানোর জন্য দুপুরের খাবারে বেসন ও জোয়ানের পরোটা খেতে পারেন। এর জন্য এক বাটি বেসন, আধ বাটি গমের আটা, এক চিমটে নুন, আধ চা চামচ ক্যারাম বীজ এবং আধ চা চামচ অলিভ অয়েল নিন। এই সমস্ত উপাদান ভালভাবে মেশান। এবার ময়দার ছোট ছোট অংশ রোল করে পরোটা তৈরি করুন এবং অলিভ অয়েলে ভাজুন। এরপর পরোটাগুলি দই বা মিক্সড সবজি দিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
রাতের খাবার
মাল্টিগ্রেন ব্রেড এবং অ্যাভোকাডো স্যান্ডউইচ - মাল্টিগ্রেন ব্রেডের ২টি স্লাইস টোস্ট করুন। অ্যাভোকাডো পাল্প নিয়ে তাতে নুন এবং মরিচ দিন। এবার একটি স্লাইসে দই এবং অন্য স্লাইসে অ্যাভোকাডো পাল্প লাগান। এর পর স্লাইসে গ্রেট করা পনির, গাজর এবং ক্যাপসিকাম দিন। টোস্টটি এক মিনিট জন্য গ্রিল করুন এবং চাটনির সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন। রাতে এই খাবারটি খেয়ে ওজন কমাতে পারেন।
আরও পড়ুন - ডিপ্রেশন কাটায়-রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে চিনি, রয়েছে আরও অনেক গুণ