শিম সবজি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। শিমের অনেক ঔষধি গুণ পাওয়া যায়। ভিটামিন বি৬, থায়ামিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড এবং নিয়াসিন শিমের মধ্যে পাওয়া যায়। এই সমস্ত উপাদান শরীরের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করে। এছাড়া শিমের মধ্যে এমন কিছু উপাদান পাওয়া যায় যা রক্ত পরিষ্কার করতে কাজ করে। রক্ত পরিষ্কার রাখলে চর্মরোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, শিমে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়, যা হার্ট সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমায়। শিম খেলে এনার্জি লেভেল ভালো থাকে এবং আয়রনের ঘাটতি হয় না। মহিলাদের বিশেষ করে শিম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষত যেসব নারীদের অনিয়মিত পিরিয়ডের অভিযোগ রয়েছে।
শুধুমাত্র স্বাদের জন্যই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও শিম ভালো বলে মনে করা হয়। কপার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন, ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান শিমে পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। শিমের সবজি খেলে গলা, পেট ব্যথা ও ফোলাভাব কমে যায়। থাকল শিম খাওয়ার উপকারিতা:
১. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় উপশমের জন্য।
২. ত্বকের সমস্যা দূর করতে।
৩. রক্ত পরিষ্কারে সহায়ক।
৪.সাধারণ জ্বর হলে শিম পাতার রস পান করলে উপকার পাওয়া যায়।
৫. পোকামাকড় কামড়ালেও শিম পাতার রস লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
৬. শিম খেলে এনার্জি পাওয়া যায়। এ ছাড়া রোগা হওয়ার সমস্যায় থাকলে শিম খাওয়া আপনার জন্য উপকারী হবে।
৭. শীত মরসুমে ওজন কমাতে চাইলে ডায়েটে শিম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। শিম ফাইবার এবং মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ। শিমের সবজি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সহজেই।
৮. শিমের বীজ পিষে ফুলে যাওয়া স্থানে লাগালে শীতকালে শরীরে ফোলাভাব হলে দ্রুত উপশম পাওয়া যায়। শিমে পাওয়া বৈশিষ্ট্যগুলি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৯. শিমে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করতে পারে। শীতে শিমের সবজি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা যায়।
যদিও এগুলো সবই ঘরোয়া উপায় এবং এগুলো থেকে কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই, তবে যেকোনো প্রতিকার গ্রহণের আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
কিন্তু এত উপকারিতা থাকার পরও এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক শিম সবজি খাওয়ার অপকারিতাগুলো সম্পর্কেও।
১. গর্ভাবস্থায় শিম অত্যধিক খেলে নবজাতকের মধ্যে হেমোলাইটিক অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
২. অতিরিক্ত পরিমাণে শিম জাতীয় সবজি খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। তাই এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৩. আপনি যদি আগে শিম না খেয়ে থাকেন এবং প্রথমবার এই সবজি খাচ্ছেন, তাহলে সীমিত পরিমাণে খান, কারণ এতে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।।