অনেক সময় রান্নার করতে করতে গরমে ছেঁকা খেয়ে বা তেল ছিটকে ত্বক পুড়ে যায়। এই পোড়ার কারণে শুধু ত্বকের বাইরের স্তরই ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, সেই স্থানের টিস্যুগুলোও মরে যায়। পোড়া স্থানটি বাদামি বা কালো রঙের হয় বা ত্বকে টান পড়ে। শরীরের এমন দাগ থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায় কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে।
প্রাথমিক চিকিৎসা
পোড়া দাগ রোধ করতে প্রথমে পোড়া জায়গাটিকে ঠান্ডা জল দেওয়া উচিত। পোড়া জায়গায় একটা পরিষ্কার ভেজা কাপড় প্রায় ১৫ সথেকে ২০ মিনিটের জন্য রাখতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন জায়গাটি একেবারেই ঘষে না যায়। এছাড়াও টুথপেস্ট লাগাতে পারেন সেই স্থানে।
মধু
পোড়া, ক্ষত সহ অনেক ঔষধি চিকিৎসায় মধু ব্যবহার করা হয়। এর প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজিং প্রভাব এবং টিস্যু পুনর্জন্ম বৈশিষ্ট্য আপনার পোড়া ত্বক নিরাময় করতে সাহায্য করতে পারে। মধুর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য পোড়া দাগ নিরাময়ে সহায়তা করে। পোড়া ত্বকে মধু লাগালে অল্প সময়ের মধ্যে কিছুটা হালকা হয়।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি পোড়া দাগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যালোভেরার পাতার ভেতর থেকে জেল বের করতে হবে। তারপর এই জেল দিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করে ২০-৪০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পোড়া দাগ দূর করতে নারকেল তেল এবং অ্যালোভেরা জেল একসঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন।
ডিম
অ্যামিনো অ্যাসিড এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিমের সাদা অংশ ত্বকের জন্য একটি সুপারফুড। পোড়া দাগের উপর এটি লাগালে প্রসারিত অংশ হালকা হবে এবং ত্বক টানটান হবে।
নারকেল তেল
আপনি যদি আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় নারকেল অন্তর্ভুক্ত করেন তবে এটি ব্রণ দূর করার পাশাপাশি পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করতে পারে। নারকেল তেল ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা ত্বকে প্রবেশ করে এবং এটিকে ময়শ্চারাইজ করে, তাই এটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এতে দুই-তিন ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পোড়া দাগের ওপর আলতো করে ম্যাসাজ করুন। দিনে দু'বার পুনরাবৃত্তি করুন।