শীতে বাজারে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে সবুজ সবজি। সেই সঙ্গে নানা অসুখ থেকে মুক্তি মেলে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যার সমাধান করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সবজি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। সেই সঙ্গে কোলেস্টেরল, ইউরিক অ্যাসিডের মতো সমস্যারও প্রতিকার করে। শীতে ফুলকপির পাশাপাশি মেলে বাঁধাকপিও। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পুষ্টিবিদরা বলছেন,রোজ ডায়েটে বাঁধাকপি রাখলে আলসার, ছানি, হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হয় না। পাশাপাশি বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
বাঁধাকপি স্যালাড, মোমো, বার্গার বা রোলেও ব্যবহার করা হয়। মাছের মাথা দিয়ে বাঁধাকপিও বাঙালির অন্যতম প্রিয় খাবার। অনেকে চিংড়ি দিয়েও খান বাঁধাকপি। তবে বাঁধাকপি খাওয়ার সময় সাবধান থাকা দরকার। কারণ বাঁধাকপি পুষ্টির বদলে হিতে বিপরীতও করতে পারে। পুষ্টিবিদরা বলছেন,বাঁধাকপিতে থাকে সালফোরাফেন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা ক্ষতি করতে পারে মস্তিষ্কের। চিকিৎসকরা বলছেন,বাঁধাকপিতে লুকিয়ে থাকা টেপওয়ার্ম মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে।
কীভাবে ক্ষতি করে লুকিয়ে থাকা কৃমি? বাঁধাকপি খাওয়ার পর তাতে থাকা কৃমি শরীরে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে চলে যায় মস্তিষ্কে। এই কৃমি মিউকোসা অতিক্রম করে পৌঁছয় রক্ত প্রবাহে। সেই ব্লাড ব্রেন ব্যারিয়ার ভেঙে চলে যায় মস্তিষ্কে। যা মস্তিকে তৈরি করে প্রদাহ। মাথাব্যথা বা ব্রেইন ফগ হতে পারে।
কীভাবে খেলে উপকার? পুষ্টিবিদরা বলছেন, বাঁধাকপি ভাল করে ধুয়ে খেলে টেপওয়ার্ম হয় না। সম্ভব বলে জলে ধোয়ার পর ৫ মিনিট রেখে দিন গরম জলে। তার পর ধুয়ে রান্না করুন। যদিও চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও শাক-সবজি কৃমি ও জীবাণু থাকে। ফলে বাঁধাকপি খেলেই ক্ষতি হবে এমনটা নয়। সব শাক-সবজিই ভাল করে ধুয়ে খাওয়াই শ্রেয়। দরকারে গরম জলেও ধুয়ে নেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন- এই ৬ খাবার এড়িয়ে চলুন, হাতের মুঠোয় থাকবে হাই ব্লাড প্রেসার