হাই ব্লাড প্রেসারের কোনও স্থায়ী নিরাময় নেই। কিছু ওষুধ ও ডায়েট করে নিয়ন্ত্রণ করা যায় উচ্চ রক্তচাপ। স্বাভাবিক রক্তচাপ ১২০/৮০ ধরা হয়। তবে ১৩০/৯০-ও উদ্বেগজনক নয়। এর উপরে গেলে স্বাস্থ্যের উপর পড়ে খারাপ প্রভাব। উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা সময়মতো না করালে হার্টের ক্ষতি করতে পারে। নানা অসুখ ঘিরে ঘরে। তাই উচ্চ রক্তচাপ থাকলে কয়েকটি জিনিস এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
উচ্চ রক্তচাপ থাকলে কী কী হতে পারে-
১। উচ্চ রক্তচাপের কারণে ধমনীর ভিতরে থাকা বিভিন্ন কোষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। শরীরে ধমনীর ক্রিয়াকলাপে দেখা দেয় অস্বাভাবিকতা।
২। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপের কারণে হতে পারে স্ট্রোক। উচ্চ রক্তচাপের প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কেও। পরে স্মৃতিভ্রংশের মতো সমস্যাও হতে পারে।
৩। উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনিতে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীগুলি বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাই কিডনিতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন বা পুষ্টি পৌঁছয় না। দীর্ঘদিন এটা চলতে থাকলে নষ্ট হয় কি়ডনি।
যা খেলে হাতের মুঠোয় থাকবে হাই
১। ক্যাফাইন- উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্যাফাইন থেকে দূরে থাকা জরুরি। কফি এবং সোডার মতো পানীয় ক্ষতিকারক হতে পারে। চা-কফি এড়িয়ে চললে ভালো হবে।
২। মশলা- অতিরিক্ত মশলাদার খাবার উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। খাবারে ব্যবহৃত মশলা রক্তচাপের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। মনে রাখবেন, কম মশলা যুক্ত খাবারই খাবেন।
৩। চিনি- উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের চিনি বা মিষ্টি জাতীয় জিনিস থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বেশি চিনি খেলে স্থূলতা বাড়তে পারে, যা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।
৪। নুন- উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য অতিরিক্ত নুন বিষের চেয়ে কম নয়। অতিরিক্ত নুন খেলে উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে।
৫। আচার- যে কোনও ভাবার সংরক্ষণের জন্য নুন প্রয়োজন। নুন খাবারকে দ্রুত পচন থেকে রক্ষা করে। নুন দিয়ে সংরক্ষিত জিনিস খাওয়া উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে। আচার এর মধ্যে প্রথমে আসে। তাই আচার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৬। প্যাকেটজাত খাবার- উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা প্যাকেটজাত খাবার থেকে দূরে থাকুন। প্যাকেটজাত খাবারে সোডিয়াম বেশি থাকে। সোডিয়াম বাড়াতে পারে উচ্চ রক্তচাপ।
আরও পড়ুন- বাজারে ছেয়েছে ভেজাল, ঠকার আগে এই ৫ উপায়ে চিনুন খাঁটি নলেন গুড়