Castor Oil for Hair Benefits: লম্বা, ঘন, কালো এবং সুন্দর চুল কে না চায়! কিন্তু খুব কম মানুষেরই এই স্বপ্ন পূরণ হয়। তবে ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে আপনি ঘন ও ঝলমলে চুল পাওয়ার পাশাপাশি চুলের অনেক সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।
ক্যাস্টর অয়েলে রয়েছে রিসিনোলিক অ্যাসিড যা মাথার ত্বকের পিএইচই স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং প্রাকৃতিক তেল ধরে রাখতে সাহায্য করে। ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারে চুলের কোন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়?
ক্যাস্টর অয়েলের এমন অনেক গুণ রয়েছে যা চুলকে স্বাস্থ্যকর করার পাশাপাশি খুশকি, চুল ফাটা এবং মাথার ত্বকের সংক্রমণের মতো অনেক সমস্যাও দূর করে।
চুল ঘন ও লম্বা করে
এই তেল নিয়মিত মালিশ করলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায় না বরং মজবুতও হয়। এটি মানসিক চাপও দূর করে। চুলের বৃদ্ধির জন্য, নারকেল তেল, অলিভ অয়েল বা আরগান অয়েলে কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন।
মাথার ত্বকের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পান
টাক, খুশকি এবং চুলকানির প্যাচগুলি মাথার ত্বকে সংক্রমণের কারণ হতে পারে। ক্যাস্টর অয়েলের অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করতে পারে। নারকেল তেলে কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল যোগ করে সপ্তাহে দু'বার মাথার ত্বক এবং চুল ম্যাসাজ করুন।
চুল ভেঙে যাওয়া
আপনার যদি শুষ্ক, দুর্বল এবং বিভক্ত চুল থাকে, তবে ক্যাস্টর অয়েল আপনাকে তা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এটি মাথার ত্বকের গভীরে গিয়ে শুষ্ক চুলের ফলিকলকে নরম করে। এই তেলে ওলিক এবং লিনোলিক অ্যাসিড রয়েছে যা স্ট্রেস, দূষণ এবং যত্নের অভাবের কারণে চুলের ক্ষতি মেরামত করতে সাহায্য করে।
চুল পাকবে না
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার চুল সাদা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকলে আজ থেকেই চুলে ক্যাস্টর অয়েল লাগানো শুরু করুন। এটি চুল সাদা করার প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। এটি চুলকে তার রঙ্গক পুনরুদ্ধার করতে এবং মাথার ত্বকে রক্ত প্রবাহ বাড়াতে সহায়তা করে। ক্যাস্টর অয়েলে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা চুল পাকা হওয়া রোধ করে।
সপ্তাহে কতবার ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করবেন
ক্যাস্টর অয়েল সপ্তাহে একবার বা দুইবারের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি খুব কম পরিমাণে নেওয়া উচিত এবং নারকেল তেল বা জলপাই তেলের মতো তেলের সঙ্গে মেশানোর পরেই প্রয়োগ করা উচিত।