স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের পরিপূরক। এতে কোনও সন্দেহ নেই। তাই একে অপরকে মিথ্যা বলা বা কিছু গোপন করা উচিত নয়। কিন্তু দাম্পত্য জীবনকে দীর্ঘায়ু ও সুখী করার জন্য স্বামী-স্ত্রীকে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। এমন কিছু জিনিস আছে যা গোপন রাখা উচিত। তাইলেই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী ও সুখী থাকে। স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের ভারসাম্য রাখা জরুরি। সে কারণে সব বিষয় একে অপরকে বলতে নেই। কিছু জিনিস নিজের কাছে রাখা উচিত। এ ব্যাপারে দিশা দেখিয়ে গিয়েছেন আচার্য চাণক্য। তাঁর নীতিশাস্ত্র বিশ্বখ্যাত। সেই নীতিশাস্ত্রেই তিনি নানা বিষয়ের উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কও।
চাণক্য নীতিতে আচার্য চাণক্য পরামর্শ দিয়েছেন, এমনই কিছু জিনিস রয়েছে যা কোনও স্বামীর-স্ত্রীর মধ্যে গোপন রাখা দরকার। এই সব কথা ফাঁস হয়ে গেলে শুধু সম্পর্ক দুর্বলই হয় না, বাড়িতে সব সময় কলহ লেগেই থাকে। তাই দাম্পত্যজীবন সুখে থাকে।
অপমান গোপন রাখুন- কোন নারী তাঁর স্বামীর সামান্য অপমানও সহ্য করতে পারে না। প্রতিশোধ এবং ক্রোধের অনুভূতি হয় তাঁদের। সে কোনও সম্পর্ককে পাত্তা দেয় না। সুতরাং নিজের অপমানের কথা কখনও স্ত্রীর সঙ্গে শেয়ার করবেন না। নিজের অপমানের কথা মনেই রাখুন। স্ত্রীকে জানালে তাঁর মধ্যে প্রতিশোধস্পৃহা তৈরি হতে পারে।
উপার্জন- কোনও জ্ঞানী ব্যক্তি কখনও নিজের স্ত্রীকে তাঁর আসল উপার্জন বলেন না। চাণক্য নীতি অনুসারে,কম আয় হলে ঝগড়ার সময় স্ত্রী খোঁটা দিতে পারেন। আবার বেশি উপার্জন হলে প্রচুর খরচ করিয়ে দিতে পারেন স্ত্রী। স্ত্রীর মধ্যে জন্ম নিতে পারে অহংকার। তাই নিজের আসল আয় কত, তা স্ত্রীর কাছ থেকে গোপন রাখুন।
দানের পরিমাণ- শাস্ত্রে বলা আছে যে আসল দান হল সেই দান যা আপনি ছাড়া অন্য কেউ জানে না। একে হাত দান করলে অন্য হাত যেন না জানে। চাণক্য নীতিতেও দানকে দুর্দশার কারণ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। জীবনসঙ্গী যদি কৃপণ বা লোভী হয় তবে দানের কথা জানার পর সে আপনার সঙ্গে ঝগড়া করতে পারে। তাই স্বামী-স্ত্রীর কখনও দান সম্পর্কে কথা বলা উচিত নয়।
দুর্বলতা প্রকাশ করবেন না- একজন স্বামী কখনও তাঁর স্ত্রীকে নিজের দুর্বলতার কথা বলা উচিত নয়। কারণ অনেক সময় নারীরা নিজের অজান্তেই অন্যের সামনে তা উল্লেখ করেন। তা ছাড়া স্ত্রী দুষ্ট হলে সে নিজেই এর সুযোগ নিতে শুরু করে। তাই নিজের দুর্বলতা সবসময় গোপন রাখুন।