আচার্য চাণক্য ছিলেন একজন মহান রাজনৈতিক ও কূটনীতিবিদ। নীতিশাস্ত্র রচনা করেছিলেন তিনি। আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিতে অর্থ, স্বাস্থ্য, ব্যবসা, বিবাহিত জীবন, সমাজ, জীবনের সাফল্য সম্পর্কিত সমস্ত বিষয়ে তাঁর মতামত দিয়ে গিয়েছেন। এর সঙ্গে আচার্য চাণক্য নীতিশাস্ত্রে নারীদের সম্পর্কেও তাঁর মত দিয়েছেন। চাণক্য বলেছেন, মহিলাদের এমন কিছু অভ্যাস থাকে যা তাঁদের ত্যাগ করা দরকার। তাঁদের এই স্বভাবের কারণে পরিবারের সদস্যরাও সমস্যায় পড়তে পারেন।
রোগ লুকোনোর স্বভাব- মহিলাদের স্বভাবের অন্যতম দিক রোগ লুকোনো। তাঁরা অভ্যাস, যে কোনও রোগকে হালকাভাবে নেওয়া। এমনকি নিজের অসুস্থতার কথা স্বামী ও পরিবারের সদস্যদেরও জানান না। এতে যা হয়, সেই রোগ পরে বড় হয়ে গেলে সমস্যায় পড়েন পরিজনরা। গোটা পরিবারকে ভুক্তভোগী হতে হয়। অথচ সময় থাকতে এনিয়ে কথা বলেন না মহিলারা। তাঁরা বিষয়টি এড়িয়ে যান বা লুকিয়ে রাখেন। তাই আচার্য চাণক্য নীতিশাস্ত্রে মহিলাদের উদ্দেশে পরামর্শ দিয়েছেন, কখনও অসুস্থতার কথা গোপন করা উচিত নয়।
আপোস করা- অনেক সময় নারীরা তাঁদের স্বামী বা পরিবারের সদস্যদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত মেনে নেন। সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে স্বামীর কথা মেনে নেন। তাঁরা হ্যাঁ-তে হ্যাঁ করেন। নিজের চিন্তাভাবনার কথা প্রকাশ করেন না। আপোস করতে বাধ্য হন তাঁরা। যাতে কোনও ঝামেলা না হয়। পরিবারে শান্তি থাকে। মহিলাদের এই স্বভাব একেবারে ভুল। এ কারণে পরে তাঁরা আফসোস করেন। আচার্য চাণক্য তাঁর নীতি কথায়, মহিলাদেরও নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করা উচিত। নিজেদের আত্মসম্মান বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা উচিত।
মিথ্যা এড়ান- মহিলারা অনেক সময় মিথ্যা বলেন। এই অভ্যাসের কারণে তাঁরা অহেতুক জটলিতা তৈরি করেন। ছোট ছোট মিথ্যা কথায় বড় সমস্যা হতে পারে। এটা তাঁরা মাথায় রাখেন না। আচার্য চাণক্য জানিয়েছেন,একজন মহিলার মিথ্যে কথা কেবল তাঁর জন্য নয়, পুরো পরিবারের জন্যই সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই নারীদের উচিত মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকা। নির্ভয়ে সত্যের মুখোমুখি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চাণক্য। এতে পরিবারে তাঁর সম্মান অটুট থাকবে। তিনি দৃঢ়চরিত্রের হয়ে উঠবেন।
আরও পড়ুন- শীতে বিয়েবাড়িতে খেয়েও ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে, লাঞ্চে রাখুন এই ৩ খাবার