scorecardresearch
 

Chondromalacia Of Patella : ওঠা-বসার সময় হাঁটুতে শব্দ? অবহেলায় হতে পারে চরম বিপদ

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাঁটু থেকে শব্দ আসার সমস্যাকে কন্ড্রোম্যালাসিয়া প্যাটেলা (Chondromalacia Of Patella) বলা হয়। এই অবস্থায়, হাঁটুর ক্যাপ, যাকে নি-ক্যাপ বলা হয়, তার ভিতরের তরুণাস্থি নরম হয়ে যায়। যার ফলে হাঁটুর সামনের অংশে ব্যথা হয়। কন্ড্রোম্যালাসিয়া প্যাটেলার সমস্যা যুবক এবং অ্যাথলেটিকদের মধ্যে প্রায়শই দেখা যায়।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • হাঁটুর সমস্যায় কম বয়সিরও ভুগছেন
  • হাঁটুতে হচ্ছে আওয়াজ
  • জানুন কেন হয় এমন সমস্যা

হাঁটুর সমস্যায় এখন আর শুধু বয়স্করাই নয়, যুবক যুবতীদেরও ভুগতে দেখা যায়। বিশেষত ২৫-২৫ বছর বয়সি যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা দিনদিন বাড়ছে। ফলে সিঁড়ি ভাঙা, হাঁটু মুড়ে বসা বা দীর্ঘক্ষণ গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আর শুধু ব্যথাই নয়, কিছুক্ষণ বসে থাকার পর উঠতে গেলে বা কিছুটা হাঁটাচলার কারণে হাঁটুতে শব্দও শুনতে পাওয়া যায়। অনেক সময় মানুষ এই আওয়াজে গুরুত্ব দেন না। তবে এটি কোনও বড়সড় সমস্যার ইঙ্গিতও হতে পারে। 

বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাঁটু থেকে শব্দ আসার সমস্যাকে কন্ড্রোম্যালাসিয়া প্যাটেলা (Chondromalacia Of Patella) বলা হয়। এই অবস্থায়, হাঁটুর ক্যাপ, যাকে নি-ক্যাপ বলা হয়, তার ভিতরের তরুণাস্থি নরম হয়ে যায়। যার ফলে হাঁটুর সামনের অংশে ব্যথা হয়। কন্ড্রোম্যালাসিয়া প্যাটেলার সমস্যা যুবক এবং অ্যাথলেটিকদের মধ্যে প্রায়শই দেখা যায়।

কন্ড্রোম্যালাসিয়া প্যাটেলার উপসর্গ (Chondromalacia Of Patella Symptoms)
১.
হাঁটুর সামনে বা পাশে ব্যথা। অনেক সময় ব্যথা এতটাই বেড়ে যায় যে মাটিতে বসার পর দাঁড়াতে বা সিঁড়ি বেয়ে উঠতে কষ্ট হয়।
২. হাঁটু নড়াচড়া করলে শব্দ হওয়া উপর কর্কশ
৩. হাঁটু ও জয়েন্টে ফোলাভাব

কন্ড্রোম্যালাসিয়া প্যাটেলার কারণ (Chondromalacia Of Patella Causes)
১.
মাংসপেশী দুর্বল হয়ে পড়লে
২. পা বাইরের দিকে এবং ভিতরের দিকে ঘোরানোর জন্য যে পেশীগুলি কার্যকরী, সেগুলির ভারসাম্যহীনতা।
৩. দৌড়াদৌড়ি ও লাফানোর কারণে হাঁটুর জয়েন্টে টান।
৪. হাঁটুতে আঘাত।
৫. হাঁটুতে আঘাতের কারণে যদি এটি জায়গা থেকে সরে যেতে পারে, তাহলেও কন্ড্রোম্যালাসিয়া প্যাটেলা হতে পারে।

এই রোগের সমাধান (Chondromalacia Of Patella Treatment)
প্রথমেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া এবং তিনি যেভাবে বলছেন সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করানো দরকার। এছাড়া ব্যায়ামের মাধ্যমে এই সমস্যা কমানো যেতে পারে। আর যদি কারও যন্ত্রণা অত্যন্ত বেশি হয়, তবে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাঁটু রিপ্লেসমেন্টও করা যেতে পারে। 

Advertisement

এই বিষয়গুলি খেয়াল রাখুন 
ওজন তুলবেন না -
যদি হাঁটুর ব্যথার কষ্ট পান তাহলে কখনওই বেশি ওজন তুলবেন না। তাতে হাঁটুর ক্ষতি হতে পারে। 
ভিটামিন ডি - হাড়ের জন্য ভিটামিন ডি খুবই জরুরি। আর সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-এর ভাল সোর্স। সেক্ষেত্রে রোজ ৩০ মিনিট রোদে বসুন।
স্বাস্থ্যকর ডায়েট - খাবারে ফল, সবজি, বাদাম ইত্যাদি সামিল করুন। কারণ এতে প্রচুর পরিমানে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়।  

আরও পড়ুন - ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় অব্যর্থ আমলকী, কীভাবে খাবেন?

 

Advertisement