scorecardresearch
 

Christmas And New Year Short Trips Near Kolkata : ক্রিসমাস-নিউ ইয়ারে ফাটাফাটি ৫ শর্ট ট্রিপ ডেস্টিনেশন, কীভাবে যাবেন-খরচ কত?

এইবছর বড়দিন পয়লা জানুয়ারি পড়েছেও সপ্তাহান্তে। অর্থাৎ এবছর ক্রিসমাস ইভ ও বড় দিন (Christmas 2022) পড়েছে শনি এবং রবিবার। ঠিক একইভাবে বর্ষশেষের রাত ও পয়লা জানুয়ারিও (Happy New Year 2023) পড়েছে শনি এবং রবিবারে। তাই যাঁরা এই সময়টা ছোটখাটো কোনও ট্যুরের প্ল্যান করছেন, তাঁরা শুক্রবার অফিস সেরে রাতের ট্রেনে বা বাসে বেরিয়ে পড়তেই পারেন। এবার প্রশ্ন হল কোথায় যাবেন? এই প্রতিবেদনে আমরা দেব আপনাদের তেমনই কিছু শর্ট ট্রিপের ঠিকানা। 

Advertisement
ছবি সূত্র - সোশ্যাল মিডিয়া ছবি সূত্র - সোশ্যাল মিডিয়া
হাইলাইটস
  • আসছে বড়দিন
  • তারপরেই নতুন বছর
  • ছোট ভ্রমণের ৫ ঠিকানা

শীতকাল মানে ঘোরাফেরার আদর্শ সময়। আর ক্রিসমাস ও নতুন বছরের সময়টায় এই ঘোরার হিড়িক ও আনন্দ যেন অনেকটাই বেড়ে যায়। এইবছর বড়দিন পয়লা জানুয়ারি পড়েছেও সপ্তাহান্তে। অর্থাৎ এবছর ক্রিসমাস ইভ ও বড় দিন (Christmas 2022) পড়েছে শনি এবং রবিবার। ঠিক একইভাবে বর্ষশেষের রাত ও পয়লা জানুয়ারিও (Happy New Year 2023) পড়েছে শনি এবং রবিবারে। তাই যাঁরা এই সময়টা ছোটখাটো কোনও ট্যুরের প্ল্যান করছেন, তাঁরা শুক্রবার অফিস সেরে রাতের ট্রেনে বা বাসে বেরিয়ে পড়তেই পারেন। এবার প্রশ্ন হল কোথায় যাবেন? এই প্রতিবেদনে আমরা দেব আপনাদের তেমনই কিছু শর্ট ট্রিপের ঠিকানা। 

হেনরি আইল্যান্ড ও বকখালি (Henry Island Bakkhali) - দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই হেনরি আইল্যান্ড জায়গাটি ছোট ট্যুরের জন্য দারুণ। কলকাতা থেকে বাসে বা শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ট্রেন ধরে নামখানায় নেমেও পৌঁছে যাওয়া যাবে এখানে। হেনরি আইল্যান্ডে পাবেন বাদাবন এবং অজস্র ঝাউগাছের পাশাপাশি বিশাল বালুকাবেলা। সঙ্গে রয়েছে  ম্যানগ্রোভ অরন্য তথা হেতাল, সুন্দরী, গরান, গেঁওয়ার অফুরান সম্ভার। এছারাও সবুজের মাঝেই চোখ চলে যাবে বঙ্গোপসাগরের সুবিশাল জলরাশির দিকে। তাই শহরের কোলাহল ছাড়িয়ে এখানে ১-২ দিন কাটাতে মন্দ লাগবে না। আর এখানে গেলে ঘুরে দেখে নিতে পারবেন বকখালিও। 

টাকি ও মাছরাঙা দ্বীপ (Taki And Machranga Island) - ইচ্ছামতি নদীর তীরে অবস্থিত টাকি কলকাতা থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কলকাতা থেকে সড়ক পথে বা শিয়ালদা থেকে রেল পথে পৌঁছান যায় টাকিতে। ইছামতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে এই শহরটিতে একটা দিন কাটানোই যায়। টাকি পৌরসভা এখানে একটি ছোট সুন্দরবন তৈরি করেছে। এছাড়া ফেরিঘাট থেকে নৌকো নিয়ে অনায়াসেই মাছরাঙ্গা দ্বীপটিও ঘুরে আসতে পারেন। পাশাপাশি শহরজুড়ে রয়েছে বেশকিছু ঐতিহাসিক স্থানও। আর সবচেয়ে বড় কথা, ইছামতির অপর প্রান্তেই অবস্থিত বাংলাদেশ। 

Advertisement

শান্তিনিকেতন ও পৌষমেলা (Bolpur Santiniketan Poush Mela) - রবিঠাকুরের কর্মভূমি বোলপুর শান্তনিকেতনে প্রায় সারাবছরই ভিড় জমায় বাঙালি। আর শীতকালে সেই উৎসাহটা যেন আরও খানিকটা বেড়ে যায়। তাছাড় বড়দিন বা নিউ ইয়ারের সময়ে গেলে বাড়তি পাওনা হতে পারে পৌষ মেলা ও তার পরবর্তী ভাঙা মেলা। তবে একটা বিষয় মনে রাখবেন, পৌষ মেলা উপলক্ষে শান্তিনিকেতনে গেলে আগে থেকে হোটেল ঠিক করে রাখবেন। নয়তো হোটেল পেতে সমস্যায় পড়তে পারেন। আর যদি পাওয়াও যায়, তাহলেও ঘরের ভাড়া হতে পারে আকাশ ছোঁয়া। 

বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর (Bankura Bishnupur) - বাঙালির আরও এক পছন্দের জায়গা বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর। তাই বড়দিন বা নিউ ইয়ারের ছুটিতে এখানেও যেতে পারেন। এখানকার টেরাকোটার মন্দিরের কারুকার্য আপনাদের পছন্দ হবেই। তাছাড়াও এই সময় এখানে চলবে বিষ্ণুপুর মেলা, যা হয়ে উঠবে পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ। 

বড়ন্তি ও অযোধ্যা পাহাড় (Purulia Ayodhya Pahar And Baranti) - বাঁকুড়ার পার্শ্ববর্তী পুরুলিয়াও হয়ে উঠত পারে আপনার ক্রিসমাস বা নিউ ইয়ারের গন্তব্য। এখানকার অযোধ্যা পাহাড় বা বড়ন্তির মতো ট্যুরিস্ট স্পটগুলিতে একদিকে যেমন পাবেন গ্রাম বাংলার রুক্ষতা, তেমনই পাবেন জঙ্গলের সবুজ ঘেরা চিত্রপট। গাড়িতে বা ট্রেনে, দুভাবেই পৌঁছতে পারেন পুরুলিয়া। আর হোটেলও পেয়ে যাবেন বাজেটের মধ্যেই। তাছাড়াও বর্তমানে এখানে অনেক রিসর্টও তৈরি হয়েছে। মনে হলে বেছে নিতে পারেন সেগুলিও। 

আরও পড়ুন - শীতে পিকনিক, কলকাতার কাছেই আকর্ষণীয় ৫ স্পট; যাত্রাপথ-খরচ কেমন?

 

Advertisement