বর্ষাকালে সুস্থ থাকতে খেজুর অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুমই নয় রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়ক করে খেজুর। শুধু তাই নয় পুরুষদের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত কার্যকরী। ক্লান্তি ঘুচিয়ে স্ট্যামিনাও বাড়ায় খেজুর।
হিমোগ্লোবিন নিয়ন্ত্রণ- শরীরে হিমোগ্লোবিনের সমস্য়া থাকলে খেজুর অবশ্যই থাকা উচিত খাদ্যতালিকায়। হিমোগ্লোবিনস্তর বাড়ানো থেকে এনার্জি বাড়াতেও সাহায্য করে।
ভাল ঘুম- খেজুর খেলে ভাল ঘুম আসে। আসলে খেজুর শরীরের মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ করে। এটা ঘুম আসার হরমোন।
সংক্রমণের মোকাবিলায়- সংক্রমণের থেকে লড়াইয়ের শক্তি দেয় খেজুর। অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলে ডায়েটে রাখুন খেজুর।
স্পার্মকাউন্ট বৃদ্ধি- পরিপাকতন্ত্র ঠি রাখে ওষুধ। সেই সঙ্গে শুক্রাণুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত খেলে প্রচুর স্ট্যামিনা বাড়ায়। এজন্য অনেকে রাতে খেজুর খান।
মস্তিষ্কের জন্য- খেজুর মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করে তোলে। মগজাস্ত্রে শান দিতে খেজুর অবশ্যই রাখা উচিত ডায়েটে।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে-ডায়াবেটিস রোগীরা রক্তে শর্করা বাড়ার আশঙ্কায় খেজুর খান না। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে খেজুর।
হাড় মজবুত- খেজুরে থাকে ক্যালশিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও কপার। খেজুরে থাকা নুন হাড়কে মজবুত করে তোলে।
অ্যাসিডিটির মোকাবিলায়- খেজুরে থাকে ফাইবার। যাতে দূর হয় হজমের সমস্যা।
কখন খাবেন খেজুর-
বিশেষজ্ঞরা জানান, খেজুর সকালে খেলে বেশি কার্যকর। হিমোগ্লোবিন কম থাকলে লাঞ্চের পর খান। শিশুদের ক্ষেত্রে সকালে দুটি খাবারের মাঝে খেজুর দেওয়া যেতে পারে। খেজুর কেনার সময় খেয়াল রাখুন,বাজার প্যাকেটের পরিবর্তে তাজা খেজুর কিনুন।
আরও পড়ুন- ঘুম কম হলে হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি, দিনে ক'ঘণ্টার নিদ্রা দরকার?