জীবনযাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে যে অসুখ ক্রমশ বাড়ছে তা হল ডায়াবেটিস। একটা সময় ৪০ বছরের পরই সুগারের সমস্যা হত। এখন কম বয়সেও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। সেজন্য দায়ী খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম ও শরীরচর্চার অভাব। আর সুগার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা অসুখ বাসা বাঁধে শরীরে। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে খাওয়ার সময় ঠিক না হলে স্বাস্থ্যকর খাবারও রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ডায়াবেটিস হলে ডাক্তার নির্দিষ্ট ডায়েট প্ল্যান করে দেন ডাক্তাররা। কখন ইনসুলিন খেতে হবে তা-ও ঠিক করে দেওয়া হয়। রক্তে শর্করা হঠাৎ করে বেড়ে বা কমে যেতে পারে খাবার খাওয়ার উপরে, এমনকি কখন খাচ্ছেন তার উপরেও নির্ভর করে। তাই কখন খাবার খাবেন তা জেনে নেওয়াটা দরকার। সন্ধের সময়টা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ বলে মত পুষ্টিবিদদের। তাই সন্ধে থেকে রাত- কখন খাবেন সেই তালিকা দেখে নিন।
আরও পড়ুন- নারী-পুরুষ প্রস্রাবের সময় এই ৫ ভুল করছেন না তো? গুরুতর অসুখের ঝুঁকি
ইনসুলিন বা ওষুধ খাওয়ার সময়- ইনসুলিন বা ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে সময় গুরুত্বপূর্ণ। গ্লুকোজ কতটা এবং কত দ্রুত রক্তে প্রবেশ করে তা কেবল আপনি কী খাচ্ছেন তার উপর নয়, আপনি কখন খাচ্ছেন তার উপরও নির্ভর করে।
নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া- আপনি যদি প্রতিদিন একই সময়ে একই পরিমাণ খাবার (বিশেষত কার্বোহাইড্রেট) খেলে রক্তে শর্করার উপস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে। ডায়াবেটিস ডায়েট চার্ট অনুযায়ী, নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে খেতে হয়। সেই নিয়ম মানলে শরীর সুস্থ থাকে। সময় অনুযায়ী না খেলে খিদে পায়। তখনই অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। অথবা অতিরিক্তও খেতে পারেন।
ডায়াবেটিসে খাবারের সময়- সারাদিন ডায়াবেটিস ডায়েট মেনে চলা জরুরি। রক্তে শর্করার মাত্রা সারাদিন পরিবর্তিত হয়। যেমন- খাবারের পরে এবং শারীরিক কার্যকলাপের সময়। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর রুটিন থাকা দরকার।
আরও পড়ুন- রাতে চট করে ঘুম আসে না? এই ৫ টোটকায় চোখ বুজলেই শান্তির নিদ্রা
ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়ার সময়
১। ঘুম থেকে ওঠার দেড় ঘণ্টার মধ্যে খেতে ভুলবেন না।
২। প্রতি ৪ থেকে ৫ ঘন্টা পরপর কম করে খাবার খান।
৩। খিদে পেলে বাদাম বা ডিম খেতে পারেন।
৪। ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধ বা বাদাম খেলে উপকার মেলে।
৫। প্রতিদিন রাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া প্রয়োজন। রাতে খাবারের অনিয়ম হলে রক্তে শর্করা তাড়াতাড়ি বাড়ে। তাই রাত ৭টার মধ্যে ডিনার সেরে নিন।
রাতে খাওয়ার সময়
যাঁরা রাতের খাবার এবং ঘুমের মধ্যে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করেন না বা যাঁরা রাতের খাবার খেয়ে সোজা ঘুমোতে যান, তাঁদের সুগারের মাত্রা বাড়তে বাধ্য। তাই সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ডিনার সেরে নিন। রাত ১০টার মধ্যে ঘুমোতে যান। অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমোন।