সুস্থ শরীরের জন্য দরকার পর্যাপ্ত ঘুম। ঘুমের অভাবে শরীরে বিবিধ অসুখ বাসা বাঁধতে শুরু করে। ফলে রাতে পরিমিত ঘুম না হলে সমস্যায় পড়তে হয়। রাতে ঘুম না আসার পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। রাতে ভালো ঘুমের জন্য জীবনযাত্রা ও ডায়েট অনুঘটকের কাজ করে। বিশেষ করে খাদ্যাভ্যাস ঘুমের উপর প্রভাব ফেলে। তাই কয়েকটি কথা খেয়াল রাখলেই রাতে শান্তিতে ঘুমোনো যায়।
মেলাটোনিন বাড়ায় যে খাবারগুলি- ঘুমের জন্য দরকার মেলাটোনিন হরমোন। তাই রাতে এমন কিছু জিনিস খাওয়া উচিত যা মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণে সহায়তা করে। তাই ঘুমোনোর আগে পটাশিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম রয়েছে এমন জিনিস খান,তা ঘুমোতে সাহায্য করতে পারে। ঘুমোনোর আগে কলা, আখরোট, বাদাম,দুধ খেতে পারেন। ক্যালসিয়াম শরীর এবং পেশী শিথিল করে। যা ট্রিপটোফান হরমোনকে ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনে রূপান্তর করতে সহায়তা করে।
মাঝ রাতে খাবেন না- অনেকের মাঝরাতে খিদে পায়। এর পর আবার ঘুমোতে অসুবিধা হয়। মাঝরাতে জেগে ওঠা এবং খাওয়ার ফলে শুধু ঘুমোতে অসুবিধা হয় না, ওজনও বৃদ্ধি পায়। এই পরিস্থিতিতে মাঝরাতে খাওয়া এড়িয়ে চলা জরুরি।
আরও পড়ুন- শরীরে এই ৫ সমস্যা থাকলে কলা একদম খাবেন না, কিডনি বিকলের ঝুঁকি
ঘুমের আগে দুধ- ট্রিপটোফ্যান এবং মেলাটোনিন দুধের দু'টি উপাদান যা ঘুম আনতে সাহায্য করে। সেরোটোনিন হরমোন মেজাজ চাঙ্গা করে, বাড়ায় ঘুম। মেলাটোনিন হরমোনের সংশ্লেষণে কাজ করে। দুধ খাওয়ার পর মস্তিষ্ক মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ করে,যা ঘুমের হরমোন নামেও পরিচিত। তাই রাতে ভালো ঘুমোতে চাইলে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খাওয়া উচিত।
সন্ধ্যায় চায়ের পরিবর্তে যা খাবেন- বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে নানা ধরনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পাওয়া যায়। যে কারণে ডায়াবেটিস ও হার্ট সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমে। বাদাম খাওয়া ঘুমের গুণমানও বাড়ায় কারণ এগুলি মেলাটোনিনের দারুণ উৎস। চা এবং কফিতে ক্যাফাইনের পরিমাণ খুব বেশি। তা মানুষকে সক্রিয় রাখে। চট করে ঘুম আসে না।
আরও পড়ুন- এই ৪ কারণে কম বয়সে হাই ব্লাড প্রেসার, শরীরে যে লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন
মোবাইল ও ল্যাপটপ থেকে দূরে- স্মার্টফোন ও ল্যাপটপের উজ্জ্বল আলো ঘুমের হরমোন নিঃসরণকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে,মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণের জন্য বৈদ্যুতিন যন্ত্র থেকে দূরে থাকুন। ঘুমোনোর এক ঘণ্টা আগে ফোন ও ল্যাপটপ ঘাঁটবেন না।