করোনার আফ্রিকান ভ্যারিয়ান্ট (Omicron) নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা দ্রুত মানুষকে ভ্যাকসিন নেওয়া এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পূর্ণ খাবার খেয়ে প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ ভ্যাকসিনের মাধ্যমে পাওয়া যাবে টি-সেলস ইমিউনিটি এবং পুষ্টির মধ্যে দিয়ে মিলবে প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনার নতুন ভ্য়ারিয়ান্ট থেকে বাঁচতে ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেশারের রোগীদের বিশেষ সতর্ক থাকা উচিত। ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার অ্যান্ড মেডিসিন বিভাগের রেসপিরেটরি কনসালট্যান্ট চিকিৎসক ভিনি কান্ত্রু ইউটিউবের একটি লাইভ সেশনে বলেন,'ডায়াবেটিস রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মাত্রা কম থাকে। তাঁদের নিজেদের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। এই সমস্ত মানুষদের চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা, ইনসুলিন ও ভ্যাকসিন নেওয়া প্রয়োজন।'
কোভিড ১৯ সংক্রমণের ক্ষেত্রে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল স্থূলতা। ডায়াবেটিস ও স্থূলতা দেহে একসঙ্গে বাসা বাঁধলে তা খুবই বিপজ্জনদক। এক্ষেত্রে কান্ত্রুর পরামর্শ, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা নিয়মিতভাবে নিজেদের ওজন পরীক্ষা করুন। তিনি বলেন, 'মোটা হয়ে যাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। কোভিড ১৯ এ এই ধরনের মানুষের সমস্যা বাড়ে। যদি ওজন বেশি হয় তাহলে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।'
ভাইরাস ও সংক্রমণ থেকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার খুবই কার্যকরী। এই বিষয়ে কান্ত্রু জানাচ্ছেন, 'বাদাম, ফল ও স্যালাডের মাধ্যমে ডায়েটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সামিল করা যায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ডিএনএ-কে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়।' বিশেষজ্ঞদের মতে রোজ প্রায় ৩০ গ্রাম বাদাম থেকে সংক্রমণ ও অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
প্রসঙ্গত ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের সময় ডায়াবেটিস ও হাঁপানি রোদীগের মধ্যে বিশেষ সমস্যা দেখা গিয়েছিল। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ইনসুলিন বা ইনহেলর নেন এমন ব্যক্তিদের সতর্ক থাকা উচিত। এমনকী চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া কথাও বলছেন তাঁর।