গোটা দুনিয়ায় ক্রমবর্ধমান ডায়াবেটিস। দ্রুত বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম ও বেহিসেবি জীবনযাত্রার কারণে অল্প বয়সেই এ রোগ গ্রাস করছে মানুষকে। ডায়াবেটিস এমন রোগ যা শরীরকে ধীরে ধীরে শুকিয়ে দেয়। ডায়াবেটিসে অগ্ন্যাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। যে কারণে রক্তে চিনির মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ইনসুলিন এমন একটি হরমোন যা রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে। তেষ্টা পাওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব, অত্যধিক খিদে, ওজন হ্রাস, ক্ষত নিরাময়ে বিলম্ব এবং দৃষ্টিশক্তির সমস্যা রক্তে হাই-ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে।
ডায়াবেটিস একবার ধরলে সহজে ছাড়ে না। তাই নিয়মিত রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ জরুরি। সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়াবেটিস রোগীদের কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়েট সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার। এক্ষেত্রেই অনেকেই রুটি ও ভাত একসঙ্গে খান। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে কি রুটি ও ভাত একসঙ্গে খাওয়া যায়? নাকি শুধু রুটিই খাওয়া উচিত? ভাত ও রুটির মধ্যে কোনটা পুষ্টিকর?
ভাত না রুটি?
১০০ গ্রাম রুটিতে থাকে ১২ গ্রাম প্রোটিন এবং ৭০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। রুটিতে কোলেস্টেরল থাকে না। এটি উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ।
অন্যদিকে,ভাতের কথা বললে, ১০০ গ্রাম চালে ৭৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। ভাতে রুটির চেয়ে কম প্রোটিন থাকে অর্থাৎ প্রায় ৭ গ্রাম থাকে। এতে কোলেস্টেরলও থাকে না। ফাইবার কম থাকে। ভাতে কম ফাইবার এবং বেশি কার্বোহাইড্রেট থাকে যা রক্তে শর্করাকে দ্রুত বাড়ায়।
আরও পড়ুন- এই ৪ জিনিস থাকা নারীই পারফেক্ট স্ত্রী, আজও মেলে চাণক্যনীতি
ভাত ও রুটি কি একসঙ্গে খাওয়া যায়?
ডায়াবেটিস রোগীদের কম ভাত খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ডায়াবেটিস রোগীরা খাদ্যতালিকায় ভাত এবং রুটি উভয়ই রাখলে রক্তে শর্করা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। চাল এবং গমের আটা দিয়ে তৈরি রুটির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। তাই একসঙ্গে খেলে বাড়ে সুগার।
খাবারে শাক-সবজি
ডায়াবেটিস রোগীরা ভাত বা রুটি খেতে পারেন, সেক্ষেত্রে ডায়েটে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। ফাইবার-সমৃদ্ধ সবুজ শাক-সবজি খাওয়া রক্তে শর্করার বৃদ্ধি রোধ করবে। ডায়াবেটিস রোগীরা কার্বোহাইড্রেটের পাশাপাশি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন।