ডায়াবেটিস এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে ৪০ বছর বয়সের পর এই সমস্যা দেখা যেত। বর্তমান জীবনযাত্রায় কম বয়সেই শরীরে বাসা বাঁধছে সুগার। রক্তে বাড়ছে শর্করার মাত্রা। ডায়াবেটিস একবার ধরলে চট করে ছাড়ে না। তাই ডায়েট মেনে চলা জরুরি। যাঁদের ডায়াবেটিস নেই তাঁদেরও আগে থেকে সাবধান থাকতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকা, খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ এবং শরীরচর্চা করলে রক্তে শর্করার মাত্রা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, ডায়েটে কম গ্লাইসেমিকের খাবার খাওয়ার। কম গ্লাইসেমিক খাবার রক্তে শর্করাকে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করে। এই খাবারগুলো হঠাৎ করে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায় না। এ ধরনের খাবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতেও সাহায্য করে। এভাবে ওজনও কমে।
ডায়াবেটিস রোগীদের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে শাক-সবজি খাওয়া দরকার। তা শর্করা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখে। লাল শাক গ্রামবাংলায় মেলে। শহরাঞ্চলে অনেকেই খান না। এই শাক শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। গরমকালে পাওয়া যায় লাল শাক। যা সুগার নিয়ন্ত্রণের মোক্ষম দাওয়াই। এই শাক পুষ্টিতে সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস। এতে অ্যান্থোসায়ানিন রয়েছে যা লাল রঙের কারণ।
লাল শাক কীভাবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কার্যকর?
পুষ্টিবিদরা বলছেন, লাল পালং শাকের ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি, যা এটিকে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য দুর্দান্ত খাবার করে তোলে। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। ফলে রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়ে না। এছাড়াও লাল শাক ফাইবার সমৃদ্ধ যা গ্লুকোজ শোষণ কমাতে সহায়ক। কমে রক্তে শর্করার মাত্রাও। ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো রাসায়নিক থাকায় এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক গুণ। লাল শাকের মধ্যে থাকা ফাইবার রক্ত প্রবাহে চিনির শোষণকে ধীরে করতে পারে। ফলে লাল শাক খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আরও পড়ুন- বাচ্চার হাইট বাড়ছে না? এই ৫ খাবার পাতে রাখলেই দেখবেন ম্যাজিক
লাল শাক কীভাবে খাবেন?
লাল শাক খাওয়ার সর্বোত্তম উপায় হল রান্না করে খাওয়া। তবে সাধারণ রান্না করুন। তাতেই উপকার। অনেকে আবার কাঁচাও খান। বাংলায় অবশ্য কাঁচা খাওয়ার চল নেই। কাঁচা শাক খেলে স্যালাড বা স্যান্ডউইচের সঙ্গে খেতে পারেন। লাল শাকের স্মুদিও তৈরি করতে পারেন।