ঠান্ডা পড়ে গিয়েছে। আর এই মরশুমে কম্বল, লেপ এইসব নিয়ে শুয়ে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন সকলে। রাতের বেলা কম্বল বা লেপের তলায় ঢুকতেই যেন এক আলাদা উষ্ণতা। তবে কিছু লোক বলে থাকেন, ভারী কম্বল বা লেপ ভারী হওয়ার কারণে সারাদিনের ক্লান্তি কম্বল বা লেপের ভেতর ঢুকলেই শান্তি পাওয়া যায় আর উষ্ণতার কারণে তাড়াতাড়ি ঘুমও চলে আসে। যদিও ভারী কম্বলের ওপর খুব কমই রিসার্চ হয়েছে।
ভারী কম্বল আসলে কী
ভারী কম্বল হল সাধারণ কম্বলের তুলনায় একটু বেশি ভারী। এই কম্বল তৈরি করার জন্য কাচের পুঁতি, তুলো সহ অন্য জিনিসের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যার ফলে এই কম্বলগুলো ভারী হয়। যদিও ভারী কম্বল কীভাবে কাজ করে তার ওপর কোনও গবেষণা হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারী কম্বল মস্তিষ্কে চলা একাধিক চিন্তাকে শান্ত করে, যার ফলে মানসিক চাপ দূরে থাকে। যখন আমরা ভারী কম্বল গায়ে চাপাই, তখন শরীরে এই মেসেজ যায় যে আমরা কোনও শান্ত পরিবেশে এসে গিয়েছি। এই ভারী কম্বলের কারণে শরীরে যে চাপের সৃষ্টি হয়, তার কারণে আমাদের মস্তিষ্ক লভ হরমোন (অক্সিটোসিন) ছাড়ার সঙ্কেত দেয়। যেটা প্রিয়জনের সঙ্গে আলিঙ্গন করার সময় হয়। এটা মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।
ভারী কম্বল কীভাবে ব্যবহার করবেন
বিশেষজ্ঞদের মতে, কম্বল বাছাই এমন করবেন যেটা আপনার শরীরের ওজনের ১০ শতাংশ মতন হবে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, কারোর ওজন ১৫০ পাউন্ড হলে কম্বল হতে হবে ১৫ পাউন্ডের। ছোট শিশু অথবা নবজাতকদের ভারী কম্বল না দেওয়াই উচিত। কারণ তাদের পাশ ফিরতে সমস্যা হতে পারে। যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে, তারা চিকিৎসকদের থেকে পরামর্শ নিয়ে ভারী কম্বল ব্যবহার করুন।
ভারী কম্বল ব্যবহার করলে ভাল ঘুম আসে?
যদিও, ভারী কম্বল ব্যবহার করলে ঘুম ভাল আসে, এর ওপর কোনও রিসার্চ হয়নি। কিন্তু বলা হয় যে ভারী কম্বল মানসিক চাপ ও পুরনো ব্যথা কম করে আর ভাল ঘুম হতে সহায়তা করে। অনিদ্রায় ভুগছেন এমন ১২০ জন মানুষের ওপর একটি গবেষণআ চালানো হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছে হালকার তুলনায় ভারী কম্বল তাদের ভাল ঘুম দিতে সহায়ক। একই সময়ে, অটিজমে আক্রান্ত ৬৭ শিশুর ওপর করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভারী কম্বল তাদের ঘুমের কোনো প্রভাব ফেলেনি। তবে, শিশু এবং তাদের অভিভাবকরা হালকা কম্বল পছন্দ করে। তৃতীয় গবেষণাটি দীর্ঘদিন ব্যথায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের উপর করা হয়েছিল। এতে দেখা গিয়েছে যে একটি ভারী ওজনের কম্বল ঘুমকে প্রভাবিত করে না। কিন্তু ভারী কম্বল ব্যথা সারাতে সাহায্য করে।