ডায়াবেটিস একটি কঠিন রোগ। যার কোনও স্থায়ী নিরাময় নেই। বহু চিকিৎসা বা ওষুধ খেয়েও অনেক সময় এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না তবে কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতি এবং ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে যার মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, সঠিক ফল, শাকসবজি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি যদি ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা না হয় তবে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে, আবার কমতেও পারে। তাই এই প্রতিবেদনে এমন একটি ফল নিয়ে আলোচনা করা হবে যেটি ডায়েটে সামিল করলে আনেকাংশে উপকার পাবেন।
ড্রাগন ফল লাল বা গোলাপি রঙের হয়। ডায়াবেটিস রোগীরা এটিকে তাদের খাদ্যের অংশ হিসেব সামিল করতে পারেন। একটি প্রাণী-ভিত্তিক গবেষণা অনুসারে, ড্রাগন ফল দেহে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক প্রভাব তৈরি করে। এছাড়া এটি স্থূলতা কমাতেও বিশেষভাবে কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে। কিছু গবেষণায়, এই উপকারী এবং গোলাপী ফলটিকে প্রিডায়াবেটিক এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য কার্যকর বলেও দাবি করা হয়েছে। এতে উপস্থিত উচ্চ ফাইবারও শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী।
একটি ফলের অনেক উপকার
ডায়াবেটিস থাকলে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ে। সেই সঙ্গে এই ফলটিতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ভাল পরিমাণে থাকায়, এটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল। অর্থাৎ কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি থেকে মুক্তি পেতেও এই ফল কার্যকর। ড্রাগন ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যার কারণে এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। একই সময়ে, এটি একটি অ্যান্টি-এজিং ফল হিসাবেও খাওয়া যেতে পারে। শুষ্ক ত্বক ও ব্রণের সমস্যাও এটির ব্যবহারে দূর হয়।
ডায়েটিশিয়ান এবং পুষ্টিবিদদের মতে, ড্রাগন ফল নিজেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণে সমৃদ্ধ একটি খাবার। এটি শরীরের কোষগুলিকে ফ্রি র্যাডিকেলের দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে। এছাড়া অকাল বার্ধক্যের মতো রোগ আটকে দিতে পারে ড্র্যাগন ফল।
আরও পড়ুন - কোলেস্টেরল থেকে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, মাত্র ২ কোয়া রসুনেই বাজিমাত