কোনও মাসে পিরিয়ড না হলে তা প্রেগন্যান্সির সবথেকে বড় চিহ্ন বলা হয়ে থাকে। মাসিক চক্র ২৪ থেকে ৩৮ দিনের হয়। আর সেই সময়র মধ্য়ে কোনও মহিলার পিরিয়ড না হয়ে থাকলে, ধরে নেওয়া য়েতে পারে তা গর্ভবতী হওয়ার সঙ্কেত দিচ্ছে।
মাসিক না হওয়ার অর্থ
ঠিক সময়ে মাসিক না হওয়ার অর্থ অযাচিত গর্ভবতী হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। আর তা সমস্যার হতে পারে। বিষেষ করে এমন কোনও জায়গায় যেখানে ৬ সপ্তাহের বেশি সময়ের পর গর্ভপাত করানো যায় না। এ ব্য়াপারে বিস্তারিত তথ্য রইল।
বমি ছাড়াও গা গোলানো ভাব
গা গোলানো গর্ভাবস্থার অন্যতম বড় লক্ষণ। তবে একে মর্নিং সিকনস বলা ঠিক না। আর তাই যে কোনও মহিলা এই সমস্যায় পড়তে পারেন। এমন নয় যে গাল গোলানোর পাশাপাশি তাঁদের বমি হওয়া দরকার। ২০১৯ সালের এক গবেষণা অনুসারে, ৮০ শতাংশ মহিলা গর্ভাবস্থায় থাকার সময় গা গোলানোর পরিস্থিতির শিকার হন। আর বমির সঙ্গে গা গোলানোর লক্ষণ দেখা গিয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ মহিলাদের মধ্যে।
আরও পড়ুন: The National Flag of India : জাতীয় পতাকায় পরিবর্তন চেয়েছিলেন সত্যজিৎ, কারণ জানেন?
স্তনে ব্যথা
স্তন বা বুকে পরিবর্তন প্রেগন্য়ান্সির প্রাথমিত লক্ষণ। এই সময় একজন মহিলার স্তনে ব্যথা, ফুলে যাওয়া, সেখানে স্পর্শ করলে নরম মনে হওয়া বা ভারী ভারী ভাব লাগা। এমন হলে খেয়াল রাখবেন। এর পাশাপাশি স্তনে নীল রঙের শিরা দেখা গেলেও নজর রাখতে হবে।
বেশি প্রসাব
গর্ভবতী হওয়ার পর মহিলাদের বার বার প্রসাব হয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ আগেও দেখা যেতে পারে। এই সমস্যা ৪ সপ্তাহের মধ্যেই দেখা দিতে পারে।
স্বাদ-গন্ধে বদল
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হরমোনে বদলের জন্য গর্ভবতী মহিলাদের স্বাদ এবং গন্ধ শোঁকার ক্ষমতায় পরিবর্তন আসে। মশলা বা পরিষ্কার করার জিনিসপত্রে অনেক সময় মন থাকে না।
ঘুম আর ক্লান্তি
এই অবস্থায় মহিলাদের প্রচন্ড ঘুম পায়। আর তাঁরা খুব ক্লান্ত অনুভব করেন। আর তাই তাঁরা একটু পর পরই ঘুমাতে যান। বা ঘুমানোর চেষ্টা করেন।
রক্তপাত
অযাচিত গর্ভাবস্থার চিন্তার মাঝে আপনার টয়লেট পেপার বা আন্ডারঅয়্যারে গোলাপি রঙের স্পট দেখা যায়, তা হলে আপনি স্বস্তির শ্বাস ফেলতে পারেন। এটা বলার আর কোনও অপেক্ষা রাখে না আপনার পিরিয়ডস হলে আপনি গর্ভবতী হননি। তবে অনেক সময় ইউটেরাস লাইনিং বা ফার্টিলাইজড এগ অ্যাটাচ না হলেও ব্লিডিং হতে পারে। এটা গর্ভধারণ করার ৩-৪ বা ১০-১৪ সপ্তাহের মধ্যে হতে পারে।