scorecardresearch
 

আপনি সুস্থ কিনা বলে দেবে চোখ, এই লক্ষণগুলি খেয়াল রাখুন

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যদি নিজের চোখে কোনও পরিবর্তন দেখতে পান তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। কারণ দীর্ঘদিন ধরে চোখে ব্যাথা, চোখ জ্বলার মতো সমস্যা বড় কোনও অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। এই প্রতিবেদনে তেমনই কিছু রোগের বিষয়ে বলা হবে যেগুলি চোখের মধ্যে দিয়ে ধরা যায়। 

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • চোখের মধ্যে দিয়ে বোঝা যায় স্বাস্থ্যের অবস্থা
  • ব্রেন টিউমরে ঝাপসা হয়ে যায় দৃষ্টি
  • বেশি মোবাইল ব্যবহারে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়

কথায় বলে চোখ কখনও মিথ্যে বলে না। আর এই প্রবাদ বাক্যটি শরীরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আর সেই কারণের রোগীর চোখ পরীক্ষা করে দেখেন চিকিৎসক। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যদি নিজের চোখে কোনও পরিবর্তন দেখতে পান তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। কারণ দীর্ঘদিন ধরে চোখে ব্যাথা, চোখ জ্বলার মতো সমস্যা বড় কোনও অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। এই প্রতিবেদনে তেমনই কিছু রোগের বিষয়ে বলা হবে যেগুলি চোখের মধ্যে দিয়ে ধরা যায়। 
 
চোখ থেকে অতিরিক্ত জল পড়া - যদি চোখের সামনে মাঝেমধ্যেই কালো বা বাদামী রঙের দাগ দেখতে পান, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। চোখের সামনে এই ধরনের দাগ ডায়াবেটিক টিনোপ্যাথির লক্ষণ হতে পারে। এটি ঘটে যখন ব্লাড সুগারের মাত্রা চোখের পিছনের দিকের রক্তনালীগুলির ক্ষতি করতে শুরু করে। এতে রক্তনালীগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে। আর সময় এর চিকিৎসা করা না হলে হারাতে পারে দৃষ্টিশক্তি। তাই ডায়াবেটিস ধরা পড়লেই প্রত্যেকের উচিত স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা যাতে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। 

ঝাপসা দৃষ্টি - অনেক কারণে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। তাউ যদি খুব আলো বা অন্ধকারে আপনি ঝাপসা দেখেন তাহলে সেটিকে অবহেলা করবেন না। কারণ মাইগ্রেন, স্ট্রোকের মতো সমস্যা থাকলেও মানুষ ঝাপসা দেখেন। অনেক সময় দেখা গিয়েছে ব্রেন টিউমর হলেও ঝাপসা দেখেন রোগীরা। 

চোখ ফুলে যাওয়া ও ডার্ক সার্কলস - চোখ ফুলে যাওয়া বা ডার্ক সার্কলের অনেক কারণ আছে। কখনও প্রশাধনী সামগ্রী ব্যবহার বা বয়স বাড়লেও এমনটা হয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বেশি মাত্রায় নুন খেলে এবং জল কম খেলে চোখের নিচের অংশ ফুলে যায়। তার প্রভাব মুখেও দেখা যায়। তবে অনেক সময় হরমোনে পরিবর্তন, অ্যানিমিয়া, থাইরয়েড ও কিডনির সমস্যার কারণেও চোখ ফুলে যায় ও ডার্ক সার্কল পড়ে। এছাড়া যদি মদ বা ধূমপানের নেশা থাকে, তাহলে ঘুম কম হয়, যার জেরে চোখ ফুলে যায় বা ডার্ক সার্কল দেখা যায়। 

Advertisement

বিবর্ণ চোখ - শরীর সুস্থ থাকলে চোখের সাদা অংশ স্বচ্ছ থাকে। কিন্তু যদি চোখ বিবর্ণ থাকে বা ক্লান্তির ছাপ থাকে, তাহলে তা খারাপ খাওয়াদাওয়া এবং কম ঘুমের ইঙ্গিত হতে পারে। চোখের সাদা অংশ যদি হলুদ হয়ে যায় তাহলে সেটিকে বলে পিলিয়া, যা রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে হয়। অন্যদিকে রক্তনালী ফেটে গেলে চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে যায়। 

শুষ্ক চোখ - বেশি রাত পর্যন্ত কম্পিউটারে কাজ করা, বেশি ফোন ব্যবহার করা বা চোখে ধুলোবালি চলে গেলে চোখ শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তবে যদি দীর্ঘদিন ধরে চোখ শুষ্ক থাকে বা চোখে ব্যাথা-জ্বালা থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসককে দেখান। মূলত পর্যাপ্ত পরিমানে চোখে জল তৈরি না হওয়া বা তা শুকিয়ে যাওয়ার কারণেই এমনটা হয়। বয়স বাড়লেও মানুষের এই সমস্যা হতে পারে। কখনও আবার ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও এমনটা হয়।

আরও পড়ুন'খুন হতে পারেন', আশঙ্কা ছিল আনিসের, গ্রামে বিক্ষোভের মুখে পুলিশ

 

Advertisement