একটি সেক্স ডল কোম্পানি অনুমতি ছাড়াই প্রাক্তন এক ইজরায়েলি সেনা ও প্রভাবশালীর মুখ ব্যবহার করেছে। ইয়ায়েল কোহেন এরিস একজন ২৫ বছর বয়সী মহিলা, যিনি দাবি করেন যে ডল স্টুডিওর মডেলটি তার একটি কার্বন কপি। তার সৌন্দর্যের চিহ্নও সেক্স ডলে ব্যবহার করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, মহিলার প্রথম নাম অনুসারে পুতুলটির নামও রেখেছে সংস্থাটি। আরও খারাপ, সংস্থাটি পুতুলের সাথে তার ফটো এবং ভিডিওগুলিও ব্যবহার করেছে। ইয়েল এখন এই আইটেমটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরানোর দাবি করছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও পরামর্শও নিয়েছেন তিনি। ওই নারী তার এক ফ্যানের কাছ থেকে এই পুতুলের কথা জানতে পারেন।
ডেইলি স্টারকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ওই মহিলা বলেন, "কেউ একজন আমার কাছে এসেছিলেন আলোচনা করতে এবং পুতুলের মাথার প্রোটোটাইপের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। আশ্চর্যের বিষয়, তিনি ছিলেন অতি পরিচিত মুখ। তারপর আমি বুঝতে পারিনি কি হচ্ছে। তাই আমি এটিতে খুব বেশি মনোযোগ দিইনি এবং এটি সম্পর্কে ভুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয়বার আমি আমার ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চাইনি।'
মহিলা আরও বলেন, 'একটি লিঙ্কের মাধ্যমে আমি কোম্পানির ওয়েবসাইটে পৌঁছেছি, যেখানে দেখা গেছে যে কোম্পানি আমার অনুমতি ছাড়াই আমাকে সেক্স ডলে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা আমার মুখ, আমার শরীর এবং এমনকি আমার ঠোঁটের নীচে বিউটি মার্কটিও ব্যবহার করেছিল। তারা পুতুলটির নামও রেখেছিলেন ইয়েল, যেটি আমার নাম। আমাকে দিয়ে পুতুলের বিজ্ঞাপন করানোর জন্য আমার ছবিও সংযুক্ত করেছিল।'
ক্ষিপ্ত হয়ে ওই মহিলা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন এবং বাজারে সেক্স ডল বিক্রি বন্ধ করতে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন। তবে, তিনি এখনও কোম্পানির সাথে কথা বলতে চেষ্টা চালাচ্ছেন।
তথ্য অনুযায়ী, ইয়েল ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। এখন তার মনোযোগ অন্য কিছু প্রজেক্টে। সম্প্রতি তিনি একটি নতুন ম্যাগাজিন হলিল্যান্ড চালু করেছেন যা মহিলাদের মন্দিরের মতো শরীরের পুজো করতে উৎসাহিত করে৷