Fatty Liver Disease diet tips: ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এমন একটি রোগ যেখানে লিভারের কোষে অত্যধিক চর্বি জমে। অনেক সময় অত্যধিক অ্যালকোহল সেবন বা ডায়েট এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধির কারণে এটি ঘটে। আপনি কি জানেন ফ্যাটি লিভারের রোগ থেকেও রেহাই পাওয়া যায় ডায়েটের মাধ্যমে? কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে এমন খাবার শরীরের ইনসুলিনের ব্যবহার কমাতে পারে এবং নিম্ন প্রদাহের ঝুঁকি কমাতে পারে।
কী খাবেন - মেডিটেরানিয়ন ডায়েট ফ্যাটি লিভার রোগের জন্য লিভারের চর্বি কমাতে সহায়ক। স্বাস্থ্যকর চর্বি ছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অনেক ধরনের কার্বোহাইড্রেট। ফ্যাটি লিভার রোগে, মাছ বা সামুদ্রিক খাবার, ফলমূল, গোটা শস্য, বাদাম, জলপাই তেল, সবুজ শাকসবজি, অ্যাভোকাডো এবং লেবু খাওয়ার পরামর্শ দেন।
শরীরের কোষগুলি গ্লুকোজ থেকে শক্তি তৈরি করতে কাজ করে। ফ্যাটি লিভার রোগে, প্রায়ই ইনসুলিন প্রতিরোধের সমস্যা হয়। মানে শরীরে ইনসুলিন তৈরি হলেও তা ব্যবহার করতে পারে না। ফলস্বরূপ, রক্তে গ্লুকোজ বাড়তে শুরু করে এবং আপনার লিভার এটিকে চর্বিতে রূপান্তরিত করে। সেজন্য আপনার খাদ্যতালিকায় চর্বিযুক্ত সঠিক জিনিস থাকা জরুরি।
যা এড়াতে হবে- বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্যাচুরেটেড ফ্যাট লিভারে চর্বি বাড়াতে কাজ করে। এটি এড়াতে কিছু জিনিস এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। যেমন, চর্বিহীন বা সাদা মাংস খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এ ছাড়া সম্পূর্ণ চর্বিযুক্ত পনির, দই, লাল মাংস, পাম বা নারকেল তেল খাওয়া এড়িয়ে চলুন। মিছরি, নিয়মিত সোডা-এর মতো অতিরিক্ত চিনিযুক্ত জিনিস খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
এই ৫টি কাজও করুন- ফ্যাটি লিভারের রোগ এড়াতে কিছু বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই ধরনের লোকদের তাদের ওজন ৭ থেকে ১০ শতাংশ কমানোর চেষ্টা করা উচিত। এ্যারোবিক ব্যায়াম বা হালকা ওজনের প্রশিক্ষণ থেকেও লিভারের স্বাস্থ্য উপকৃত হয়। এ জন্য চিকিৎসকরাও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেন। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর চেষ্টাও করা উচিত।