Liver Damage Symptoms : লিভার শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। মানবদেহের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ লিভারের দ্বারা সম্পন্ন হয়। তাই লিভার কোনও কারণে ড্যামেজ হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যাও দেখা দেয়। লিভারে অতিরিক্ত পরিমাণে ফ্যাট জমে গেলে তাকে ফ্যাটি লিভার বলা হয়। ফ্যাটি লিভারের কারণে লিভার ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। যার জেরে দেহে ডায়াবেটিস, থাইরয়েড এবং কোলেস্টেরলের মতো সমস্যার সূত্রপাত হয়। ফ্যাট লিভারের পুরোপুরিভাবে ক্ষতি করতে পারে। তবে এটি সারানো যায়। তার জন্য দরকার যথা সময়ে চিকিৎসা। সময়মতো চিকিৎসা করালে ফের ফিরে পাওয়া যায় সুস্থ লিভার। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্যাটি লিভার তথা লিভার ড্যামেজ হওয়ার কারণ।
ফ্যাটি লিভারের কারণ (Fatty Liver Reasons)
লিভারে ফ্য়াট জমে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হল অ্যালকোহল। অত্যধিক অ্যালকোহল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে প্রমাণিত হতে পারে। বেশি পরিমানে অ্যালকোহল পান করলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থ লিভার পুনরুদ্ধার করা কঠিন।
ওজন কমে যাওয়া
লিভারের দুর্বলতার কারণে ওজন প্রভাবিত হয়। অ্যালকোহলের কারণে, ক্ষুধা কমে যায় এবং ওজন দ্রুত হ্রাস পেতে শুরু করে। অর্থাৎ যদি কেউ মদ্যপান করেন এবং নির্দিষ্ট কোনও কারণ ছাড়াই হঠাৎ ওজন কমতে শুরু করে, তাহলে সেটি হতে পারে ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ।
ক্লান্তি এবং দুর্বলতা
লিভার শরীরের অনেক কাজে অংশ নেয়। তাই লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেহে ক্লান্তির লক্ষণ দেখা দেয়। শরীরে দুর্বলতা অনুভব করাও ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ।
বমি ভাব
লিভারে ফ্যাট জমার কারণে বমি ভাব দেখা দেয়। পাশাপাশি পেটে ব্যথা হতে পারে। এক্ষেত্রে বমি বমি ভাবের সঙ্গে জ্বরও হতে পারে লিভার ক্ষতির লক্ষণ।
ক্ষুধামান্দ্য
লিভারের ক্ষতি ক্ষুধার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি হজমও ঠিকমতো হয় না। অ্যালকোহল পান করার ফলে ক্ষুধা কমে যায়। এমনকী শরীর খাবারের পুষ্টিগুণও ঠিকমতো পায় না। ফলে দেহে পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। তাই এই সমস্ত লক্ষণগুলি যদি শরীরে দীর্ঘদিন ধরে দেখা যায়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন (Fatty Liver Treatment)।
আরও পড়ুন - বিনামূল্যে মাধ্যমিকের টেস্ট পেপার বিলি করবে পর্ষদ, কীভাবে পাবে পরীক্ষার্থীরা?