শীতে পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা কিংবা অস্থিসন্ধি ফুলে গিয়ে যন্ত্রণা বা গাঁটে গাঁটে ব্যথা বেড়ে যায়। আসলে কর্মব্যস্ত জীবন এবং খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম ডেকে আনছে নানা অসুখ। এর মধ্যে অন্যতম রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। খাবার থেকে উৎপন্ন ইউরিক অ্যাসিড রক্তে মিশে পৌঁছয় কিডনিতে। এই দূষিত পদার্থকে ছেঁকে মূত্রের মাধ্যমে শরীরের বাইরে নির্গত করে কিডনি। নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে ইউরিক অ্যাসিড বেশি তৈরি হলে কিডনি মাত্রাতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড শরীরে বাইরে পাঠাতে পারে না। তখন রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। ঘুমের অভাব, খাবারের অনিয়ন্ত্রণের ফলে শরীরে বাড়ে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। ফলে ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণ করতে ডায়েটে বদল জরুরি।
আপেল- শীতের ডায়েটে প্রতিদিন পাতে রাখুন আপেল। এতে রয়েছে ভরপুর ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফাইবার রক্তের ইউরিক অ্যাসিড শোষণ করে নেয়। আপেলে রয়েছে ম্যালিক অ্যাসিড। যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
আমলকি - সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি রয়েছে আমলকিতে। খালি পেটে আমলকির রস খেলে দারুণ উপকার মেলে। হৃদ্যন্ত্র ও লিভার সুস্থ থাকে। সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে রাখে ইউরিক অ্যাসিড। আমলকি কাঁচা খেলে বেশি উপকার।
ই ফল শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।
কমলালেবু- শীত মানেই কমলালেবু। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে লেবু অত্যন্ত কার্যকর। কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি ও ফাইবার। প্রতিদিন খেলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। লেবুজাতীয় ফলই ইউরিক অ্যাসিডের মোক্ষম দাওয়াই।
সবজি- শীতে নানা ধরনের সবজি মেলে। ব্রকোলি, টমেটো, কুমড়োর মতো সবজি খান। এতে রয়েছে ফাইবার ও বিবিধ পুষ্টিগুণ। যা ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর।
হলুদ- ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভরসা রাখতে কার্যকর হলুদ। প্রদাহ কমানোর উপাদান রয়েছে হলুদে। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রোজ সকালে খাওয়া যেতে পারে কাঁচা হলুদ।
এছাড়া কলা, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরির মতো ফলও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। গাঁটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- রাতে ঘুম আসে না? সেনার এই কৌশলে ২ মিনিটেই ঢলে পড়বেন বিছানায়