Stale rice benefits: ভারতে সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় ভাত। ভারতের বেশিরভাগ বাড়িতেই প্রতিদিন ভাত (Rice) রান্না করা হয়। কেউ কেউ এমনও বিশ্বাস করে যে ভাত ছাড়া খাবার অসম্পূর্ণ। অনেকে আবার বাসি ভাত (Stale rice) খেতে পছন্দ করেন। এখন প্রশ্ন জাগে বাসি ভাত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নাকি ক্ষতিকর?
পুষ্টিবিদরা বলেন যে টাটকা ভাতের চেয়ে বাসি ভাত স্বাস্থ্যকর (Stale rice benefits)। তাঁদের মতে, ফ্রিজে রাখা বাসি ভাতে টাটকা ভাতের তুলনায় কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে, যার মানে এটি আপনাকে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
কিছু গবেষণা অনুসারে রান্না করা স্টার্চকে ঠান্ডা করার প্রক্রিয়াটিকে স্টার্চ রেট্রোগ্রেডেশন বলা হয়। ঠান্ডা হওয়ার পরে এটি হজমযোগ্য স্টার্চকে প্রতিরোধী স্টার্চে রূপান্তরিত করে। হজমযোগ্য স্টার্চ শরীরের পক্ষে হজম করা এবং ভেঙে যাওয়া উভয়ই সহজ। এতে ব্লাড সুগার বেড়ে যায়। যেখানে শরীরের পক্ষে প্রতিরোধী স্টার্চ ভেঙে ফেলা কঠিন। পুষ্টিবিদরা বলছেন যে এই স্টার্চ আপনার জন্য খারাপ নয়। কারণ এটি একটি প্রোবায়োটিক এবং রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ায় না।
বাসি ভাত ঠিক রাখার সর্বোত্তম উপায় হল একটি এয়ার টাইট পাত্রে প্যাক করা। এছাড়াও, আপনাকে এটিও মনে রাখতে হবে যে ভাত কখনই ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত নয়। আপনি যখনই ভাত সংরক্ষণ করবেন, সবসময় ফ্রিজে রাখুন।
বাসি ভাত এয়ার টাইট পাত্রে রেখে ২ থেকে ৩ দিন ব্যবহার করা যায়। বাসি ভাত খাওয়ার আগে ঠান্ডা করতে ভুল করবেন না। ফ্রিজ থেকে ভাত বের করে কিছুক্ষণ রেখে দিন। যাতে এটি ঘরের তাপমাত্রায় নেমে আসে। ভাত আবার গরম করলে তা খাওয়ার অযোগ্য হয়ে যায়। এর পুষ্টিগুণও নষ্ট হয়ে যায়।