Gynecological Cancer Symptoms : মহিলাদের এই ক্যান্সারগুলি সহজে শনাক্ত হয় না, কীভাবে বুঝবেন?

কিছু ক্যান্সার লিঙ্গ ভিত্তিক। যেমন মহিলাদের গাইনোকোলজিক্যাল ক্যান্সার হয়। এরকম আরও পাঁচটি ক্যান্সার এই ক্যাটাগরি মধ্যে পড়ে, যা প্রাণঘাতীও। এগুলোর মধ্যে অনেক বৈচিত্র্যও রয়েছে। কিন্তু কিছু লক্ষণ একই রকম। অনেক সময় শরীরের কোন অংশে ক্যান্সার আছে তা শনাক্ত করতে বিলম্ব হয়ে যায়। এই প্রতিবেদনে সেই সঙ্কেতগুলি নিয়েই আলোচনা হবে।

Advertisement
মহিলাদের এই ক্যান্সারগুলি সহজে শনাক্ত হয় না, কীভাবে বুঝবেন?প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • মহিলাদের কিছু বিশেষ ক্যান্সার হয়
  • সহজে সেগুলি বোঝা যায় না
  • জেনে নিন চেনার উপায়

ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ, যা যে কারও শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। এটি শরীরের যে কোনও একটি অংশ থেকে শুরু হয় এবং সময়মতো চিকিৎসা না করালে অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধির কারণে এই রোগের বিকাশ ঘটে। সেজন্য ক্যান্সারের লক্ষণগুলো জানা খুবই জরুরি।

কিছু ক্যান্সার লিঙ্গ ভিত্তিক। যেমন মহিলাদের গাইনোকোলজিক্যাল ক্যান্সার হয়। এরকম আরও পাঁচটি ক্যান্সার এই ক্যাটাগরি মধ্যে পড়ে, যা প্রাণঘাতীও। এগুলোর মধ্যে অনেক বৈচিত্র্যও রয়েছে। কিন্তু কিছু লক্ষণ একই রকম। অনেক সময় শরীরের কোন অংশে ক্যান্সার আছে তা শনাক্ত করতে বিলম্ব হয়ে যায়। এই প্রতিবেদনে সেই সঙ্কেতগুলি নিয়েই আলোচনা হবে।

এই ধরনের ক্যান্সার মহিলাদের প্রজনন অঙ্গে ঘটে। এটি মহিলাদের পেলভিসের ভিতরে বিভিন্ন জায়গা থেকে শুরু হয়। তাতে পেটের নিচে নিতম্বের হাড়ের মাঝের অংশও অন্তর্ভুক্ত থাকে। এর মধ্যে যোনি ক্যান্সার, ভালভার ক্যান্সার, ওভারিয়ান ক্যান্সার, সার্ভিকাল ক্যান্সারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

উপসর্গ গুলো কী? (Gynecological Cancer Symptoms)
১. পিঠব্যথা
২. যোনি চুলকানি, জ্বালা এবং ব্যথা
৩. ফুলে যাওয়া
৪. যোনি থেকে রক্তপাত স্রাব
৫. পেলভিক ব্যথা
৬. প্রস্রাব ধরে রাখতে অসুবিধা

এই মানুষেরা সাবধান
গাইনোকোলজিক্যাল ক্যান্সার যে কোনও মহিলার হতে পারে। কিন্তু কিছু কারণ আছে যা এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সেগুলি হল, ধূমপান, পারিবারিক ইতিহাস, এইচপিভি সংক্রমণ, স্থূলতা এবং ৫৫ বছরের বেশি বয়স।

উপসর্গ দেখা দিলে কী করবেন
প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করালে ক্যান্সার প্রাণঘাতী হবে না। লক্ষণ দেখা দিলে প্রথমেই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ক্যান্সারের জন্য এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু পরীক্ষা করা হয়। জরায়ু এবং সার্ভিকাল ক্যান্সারের জন্য প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষা করার সময়, জরায়ু, যোনি, ফ্যালোপিয়ান টিউব, ডিম্বাশয় এবং মলদ্বার পরীক্ষা করার জন্য পেলভিক পরীক্ষা করা হয়।

রক্ষা পাওয়ার উপায় কী? (Gynecologic Cancer Treatment)
বিশেষজ্ঞরা স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত ক্যান্সার এড়াতে HVP ভ্যাকসিনের পরামর্শ দেন। ভালভার ক্যানসার, সার্ভিকাল, ভ্যাজাইনাল ক্যানসারের ঝুঁকি এই টিকা দেওয়ার মাধ্যমে কমানো যায়। ১১ থেকে ১২ বছরের মধ্যে যে কোনও মেয়ে এই টিকা নিতে পারে। এছাড়াও, নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করাতে থাকুন।

Advertisement

আরও পড়ুন - অনুব্রত জেলে, লালন-মৃত্যু ইস্যুতে বীরভূমে জমি ফেরত পেতে চায় TMC?

 

POST A COMMENT
Advertisement