scorecardresearch
 

H3N2 Influenza Virus: নতুন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত? চটজলদি সুস্থ হতে কী কী খাবেন না, জানুন

H3N2 ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক। কাশি, হাঁচি বা কথা বলার সময় নির্গত ফোঁটার মাধ্যমে একজন সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে অন্যের কাছে ভাইরাস চলে যায়।

Advertisement
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত? চটজলদি সুস্থ হতে কী কী খাবেন না ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত? চটজলদি সুস্থ হতে কী কী খাবেন না
হাইলাইটস
  • প্রচুর তরল খাবার খেতে হবে
  • ভারী ও মশলাদার খাবার খেলে চলবে না
  • মাস্ক পরতে হবে

দেশের অধিকাংশ এলাকায় ফ্লুর মতো পরিস্থিতি গ্রাস করেছে। জ্বর, কাশি, নাক দিয়ে জল পড়া এবং গায়ে ব্যথায় ভুগছেন বহু মানুষ। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময় এরকম হয়েই থাকে। তবে এবার হচ্ছে একটি ভাইরাসের কারণে। এটি মরসুমি ফ্লু নয় এটি H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (H3N2 Influenza A Virus) দ্বারা সৃষ্ট রোগ। এর ভাইরাসের লক্ষণগুলি ঋতুকালীন ফ্লু ভাইরাসের মতোই এবং এর মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশি, নাক দিয়ে জল পড়া, গায়ে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে, এটি শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।

H3N2 ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক। কাশি, হাঁচি বা কথা বলার সময় নির্গত ফোঁটার মাধ্যমে একজন সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে অন্যের কাছে ভাইরাস চলে যায়। গর্ভবতী মহিলা, ছোট শিশু, বয়স্ক মানুষ, আগে থেকে কঠিন রোগে আক্রান্ত লোকজন এই ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছেন।

আরও পড়ুন: H3N2 Influenza A Virus: দেশে H3N2 ভাইরাসে প্রথম মৃত্যু, জানুন রোগের লক্ষণ-চিকিৎসা

কী কী খেতে ও করতে হবে (H3N2 Influenza Virus Diet?

এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে খিদে কমে যেতে পারে। প্রথমট শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে হবে। এটি শরীরে ভাইরাল লোড কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। যেহেতু শরীরে এই সময় হজমশক্তি কম থাকে, তাই ভারী খাবার, মশলাদার খাবার, কাঁচা সালাদ এবং ঠান্ডা দই খেলে চলবে না।

সাধারণ খাবার যেমন ভাত বা রুটি এবং স্যুপ খেতে পারেন। সারাদিনে কয়েকবার হালকা গরম জল খেতে হবে।

এক লিটার জলে এক ইঞ্চি শুকনো আদা ও এক চা চামচ আস্ত ধনে বীজ দিয়ে ফুটিয়ে সেই জল খেতে পারেন। এটি ফ্লুর সঙ্গে সম্পর্কিত মাথাব্যথা এবং গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।

Advertisement

ত্রিফলা দিয়েও গার্গল করতে পারেন। মাত্র ২ গ্লাস জলে আধ চা চামচ ত্রিফলা গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এটিকে একটি গ্লাসে ঢেলে অল্প বিট নুন যোগ করুন। তারপর গার্গল করুন।

ঘি এবং লবঙ্গ হল সেই জাদু উপাদান যা আপনাকে সেরে উঠতে সাহায্য করে। এক টেবিল চামচ ঘি নিন এবং কয়েক টুকরো লবঙ্গ দিয়ে গরম করুন। এটি ছেঁকে খান। গলা ব্যথা, কাশি, সর্দি এবং সাইনাস নিরাময়ে এটি দুর্দান্ত কাজ দেয়। এটি শিশুদের পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও নিরাপদ।

একটা কাপড়ের পুঁটলিতে অল্প জুয়ান ভরে গরম করে নিন। এরপর সেই পুঁটলি কপালে সেঁক দিন। নাক বন্ধ হওয়া, বুকের ভারী ভাব কেটে যাবে এটা করলে।

সর্বোপরি সংক্রমণ এড়াতে জনাকীর্ণ স্থানে মাস্ক পরুন। নিয়মিত হাত ধোয়াকে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। প্রচুর পরিমাণে তরল খেতে হবে।

Advertisement