scorecardresearch
 

Bay Leaf Benefits: ডায়াবেটিসের রামবাণ, ঘুম হয় দারুণ, এভাবে ব্য়বহার করুন তেজপাতা

তেজপাতা বেশিরভাগ ভারতীয় খাবারে ব্যবহৃত হয়। মসলা হিসেবে ব্যবহৃত এই পাতায় অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে।

Advertisement
Bay Leaf Benefits Bay Leaf Benefits
হাইলাইটস
  • তেজপাতা বেশিরভাগ ভারতীয় খাবারে ব্যবহৃত হয়
  • মসলা হিসেবে ব্যবহৃত এই পাতায় অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে
  • তেজপাতা ব্যবহারের এই উপকারিতা আপনাকে অবাক করবে

তেজপাতা বেশিরভাগ ভারতীয় খাবারে ব্যবহৃত হয়। মসলা হিসেবে ব্যবহৃত এই পাতায় অনেক ঔষধি গুণ পাওয়া যায়। এটি থেকে তেলও পাওয়া যায়। তেজপাতার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এ ছাড়া কপার, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম এবং আয়রনের মতো অনেক ধরনের প্রধান লবণ এই পাতায় পাওয়া যায়। যদিও খুব কম মানুষই জানেন যে তেজপাতা খাবারের স্বাদ এবং গন্ধ বাড়ানোর পাশাপাশি একটি খুব উপকারী মশলা।

 

 

তেজপাতার উপকারিতাঃ 

১. যদি আপনার হজম সংক্রান্ত সমস্যা থাকে, তাহলে আপনি তেজপাতা ব্যবহার করতে পারেন। পেট সংক্রান্ত অনেক সমস্যায় এটি একটি কার্যকরী প্রতিকার। চায়ে তেজপাতা ব্যবহার করে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি এবং ক্র্যাম্পের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

২. তেজপাতা ব্যবহার টাইপ ২  ডায়াবেটিসে উপকারী। এটি রক্তে শর্করার স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখে এবং হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এমন পরিস্থিতিতে যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের জন্য এটি খাওয়া খুবই উপকারী।

৩. রাতে ঘুমানোর আগে তেজপাতা ব্যবহার ভালো ঘুমের জন্য খুবই উপকারী। কয়েক ফোঁটা তেজপাতার তেল জলে  মিশিয়ে পান করলে ভালো ঘুম হয়।

৪. তেজপাতার ব্যবহার কিডনিতে পাথর এবং বেশিরভাগ কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার জন্য খুবই উপকারী। তেজপাতা সিদ্ধ করে সেই জল  ঠান্ডা  করে পান করলে কিডনি স্টোন এবং কিডনি সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়।

৫. তেজপাতা ব্যথা উপশমের জন্য একটি কার্যকর প্রতিকার। তেজপাতার তেল দিয়ে আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করা খুবই উপকারী। এ ছাড়া প্রচণ্ড মাথাব্যথা থাকলেও এর তেল দিয়ে মালিশ করা ভালো।

Advertisement

 

 

৬. চোখের সমস্যা দূর করতে পারে
মালাবার পাতা নামেও পরিচিত, তেজপাতাতে ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি পাওয়া যায় এবং আপনি অবশ্যই জানেন যে ভিটামিন-এ আমাদের চোখের সমস্যা দূর করতে কাজ করে, যেখানে ভিটামিন-সি শরীরে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আসলে, শ্বেত রক্তকণিকা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।

৭.তেজপাতা বাত দূর করে
আপনার জন্য এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ যে তেজপাতায় বাতের ব্যথা নাশক বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। আসলে, আমাদের খাদ্য ও পানীয়ের কিছু জিনিস বাত দোষের কারণ হয়। কিন্তু আপনি যদি খাবারে তেজপাতা  রাখেন তবে এটি বাতের ব্যথা হ্রাস করবে। 

. কাশি ও জ্বরে উপকারী তেজপাতা
কাশি, সর্দির মতো সাধারণ রোগে তেজপাতার গুঁড়ো মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপশম পাওয়া যায়। খাবারে তেজপাতার তেল ব্যবহার করেও আপনি এই স্বাস্থ্য সমস্যা এড়াতে পারেন। এ ছাড়া ছোট বাচ্চাদের পেটে ব্যথা বা পেট খারাপ হলে তেজপাতার গুঁড়ো খাওয়ালে পেট সংক্রান্ত সমস্যা সেরে যায়।

 

 

৯.ওজন কমাতে পারে
তেজপাতার জল খাওয়া আপনার শরীরের ওজন কমাতে পারে। দিনে দুই থেকে তিনবার এই জল খেলে আপনার শরীরের মেদ কমতে পারে। আপনি চাইলে সকালে খালি পেটে, বিকেলে খাবার পর এবং রাতে খাবারের কয়েক ঘণ্টা আগে এই জল খেতে পারেন। চেষ্টা করুন তেজপাতার জল যেন উষ্ণ হয়। এটি আপনার শরীরের চর্বি কমাতে পারে।

১০.সংক্রমণ চলে যাবে
তেজপাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ, যা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সহায়ক হতে পারে। শীতকালে নিয়মিত তেজপাতার জল পান করলে ঠান্ডা ও ফ্লুর সমস্যা কমবে।

১১.শরীরের ফোলা কমানো
সিনিওল তেজপাতার মধ্যে উপস্থিত, যা আপনাকে প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। নিয়মিত তেজপাতার জল খেলে শরীরের ফোলাভাব দূর হয়। শীতকালে ফুলে যাওয়ার সমস্যা বাড়লে নিয়মিত দিনে দুবার তেজপাতার ইষদুষ্ণ গরম জল খান। এতে অনেক উপকার হবে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন
তেজপাতা জলে  ফুটিয়ে এর কাড়া পান করা যেতে পারে। এছাড়া তেজপাতা পিষে এর পাউডার তৈরি করেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

 

তেজপাতার জল কীভাবে প্রস্তুত করবেন
আবশ্যক সামগ্রী
জল - ২ কাপ
তেজপাতা - ২ থেকে ৩টি
দারুচিনি গুঁড়ো- আধা চা চামচ
পদ্ধতি
প্রথমে একটি প্যানে জল দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এরপর এতে কিছু তেজপাতা দিন। এবার কয়েক মিনিট সেদ্ধ করুন। জল ভালোভাবে ফুটে উঠলে গ্যাস বন্ধ করে তাতে দারুচিনি গুঁড়ো দিন। কিছুক্ষণ পর জল কিছুটা ঠান্ডা হলে কাপে ফিল্টার করে কফির মতো পান করুন। এতে আপনি অনেক উপকার পাবেন। তেজপাতার জল স্বাস্থ্যের জন্য নানাভাবে উপকারী হতে পারে। যাইহোক, যদি আপনার কোন ধরনের সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই এটি খাওয়ার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। অতিরিক্ত কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

তেজপাতা চা তৈরির পদ্ধতি: 
 তেজপাতার চা তৈরি করতে একটি পাত্রে  জল  নিয়ে গ্যাসে রাখুন। এতে তেজপাতা যোগ করুন এবং সেদ্ধ করুন। এবার এতে দারুচিনি গুঁড়ো দিন। ১০  মিনিট ফুটানোর পরে, বন্ধ করুন। এবার এতে লেবু ও মধু মিশিয়ে আপনার পছন্দ অনুযায়ী খেতে পারেন।

Advertisement

 

Advertisement