Heart Health Tips: করোনার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। অনেক বড় সেলিব্রিটিও সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। কেউ জিমে ব্যায়াম করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক, কেউ কনসার্টে গান গাইতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক, আবার কেউ দৈনন্দিন কাজ করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন। লাইফস্টাইলের পরিবর্তনই এর সবচেয়ে বড় কারণ বলা হয়। আসলে আমাদের হৃৎপিণ্ড অর্থাৎ হার্ট আমাদের শরীরের অন্যতম বিশেষ অঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হয়। যখনই আমাদের হৃদয়ে কোনো সমস্যা শুরু হয়, তখনই নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এর কারণে রক্তচাপ, রক্তে সুগারের মাত্রা, হঠাৎ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সময়ের সাথে সাথে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়ে। মানুষ প্রায়ই হার্ট অ্যাটাকের মতো কিছু অনুভব করে। তাই, প্রায়শই মানুষের মধ্যে প্রশ্ন থাকে যে একজন ব্যক্তির সারা জীবনে কতবার হার্ট অ্যাটাক হতে পারে? এর আগে জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের সম্পূর্ণ তথ্য...
হার্ট অ্যাটাক
আমাদের হৃৎপিণ্ডে রক্তের প্রবাহ কমে গেলে বা কোনো ধরনের ব্লকেজ দেখা দিলেই হার্ট অ্যাটাক হয়। ধমনীতে চর্বি বা কোলেস্টেরল বৃদ্ধির কারণে রক্ত প্রবাহে বাধা পেতে পারে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও রয়েছে। তাই হার্ট অ্যাটাকের কোনো উপসর্গ অনুভব করার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগে আমাদের শরীর অনেক সংকেত দেয়, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় লক্ষণ হল বুকে ব্যথা। হার্ট অ্যাটাকের কিছু বিশেষ লক্ষণ নীচে দেওয়া হল।
হার্ট অ্যাটাক কতবার আসতে পারে?
কার্ডিওলজিস্টদের মতে, সাধারণত একজন ব্যক্তির সবচেয়ে বেশি তিনবার হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এটি যে কোনো বয়সের মানুষকে আঘাত করতে পারে, তবে ৪৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ এবং ৫৫ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি।
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের উপায়
১. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
২. ধূমপান, অ্যালকোহল ইত্যাদি সেবন করবেন না।
৩. আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে চিনি, নুন এবং চর্বিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।
৪. ফল এবং সবজি আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
৫. প্রতিদিন ব্যায়াম এবং যোগব্যায়াম করতে হবে।