প্রতি বছর ভারতে ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় শুধুমাত্র হার্ট অ্যাটাকের কারণে। টানা তিন বছর ধরে এমনটাই ঘটে চলেছে দেশে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা বেশি করে বাড়ছে। তাই যাঁদের ইতিমধ্যেই হার্ট অ্যাটাক হয়ে গিয়েছে তাঁদের নিজেদের খাবারের প্রতি বিশেষভাবে যত্ন নেওয়া উচিত। কারণ যদি ডায়েটের যত্ন না নেন তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড়সড় সমস্যায় পড়তে হতে পারে। তাই হার্ট অ্যাটাকের পর ডায়েটে কী রাখা উচিত, ও কী বাদ দেওয়া দরকার, সেই আলোচনাই করা হবে এই প্রতিবেদনে।
হার্ট অ্যাটাক থেকে কীভাবে সেরে উঠবেন?
১. প্রথমত, ডায়েটে ফাইবারযুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। কারণ এটি ব্যাড কোলেস্টেরল শরীরে জমতে দেবে না। এগুলি ছাড়াও, বেশি করে মরশুমি শাকসবজি, গোটা শস্য এবং ডায়েটারি ফাইবার খাওয়া উচিত। এতে হার্ট ভাল থাকবে।
২. হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ধূমপান করা উচিত নয়। অতএব, যদি একবার হার্ট অ্যাটাক হয়ে গিয়ে থাকে তবে ধূমপান করবেন না। এছাড়াও, শারীরিক পরিশ্রম বাড়াতে হবে। কারণ ব্যায়ামের অভাবে শিরায় কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। এ ছাড়াও বেড়ে যায় কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি। ফলে শারীরিক পরিশ্রম এইসব ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে।
৩. আখরোট, শণের বীজ এবং অ্যাভোকাডো খেতে পারেন। কারণ এতে ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই রয়েছে। যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
৪. ১০০ গ্রাম তিসি বীজে ২০ শতাংশ প্রোটিন, ২৮ শতাংশ ফাইবার, ১৮ শতাংশ মনোস্যাচুরেটেড (MUFA) এবং ৭৩ শতাংশ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট (PUFA) থাকে।
৫. এছাড়া তুলসী দুধও খেতে পারেন। এটি হার্টের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। দুধে তুলসী পাতা ফুটিয়ে পান করলে মরশুমি রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আর যেহেতু এখন শীতকাল, তাই এই দুধ বিশেষভাবে স্বাস্থ্যের উপকারে আসতে পারে।
আরও পড়ুন - টমেটো খাচ্ছেন, সাবধান, কয়েকজনের জন্য ক্ষতিকারক