Heart Attack Alert Before 7 Daysr: হার্ট অ্যাটাক (Heart attack) আধুনিক জীবনের একটি বড় এবং গুরুতর সমস্যা। গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভারতেও প্রতি বছর প্রচুর মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। হৃৎপিণ্ডে রক্ত চলাচল ব্যাহত হলেই হৃদরোগে আক্রান্ত হতে হয়। আমরা দেখি আপাত সুস্থ মানুষ আচমকা বুকে ব্যথা অনুভব করেন। কেউ সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন, কেউ আবার সারাজীবনের জন্য দুর্বল হয়ে পড়েন। অপারেশন করে কখনও জীবনকাল বাড়িয়ে নেওয়া হয়। তবে একবার আক্রান্ত হয়ে গেলে ফের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। কিন্তু হার্ট অ্যাটাক কিন্তু আচমকা হয় না। লক্ষণ কিন্তু অনেক আগে থেকেই জানা যায়। রোগটির সম্পর্কে ধারণা না থাকায় আমরা বুঝতে পারি না। জীবন বাঁচাতে উপসর্গ সম্বন্ধে জেনে রাখা জরুরি।
আরও পড়ুনঃ ৩ বছর আগেই জানুন, আপনার হার্ট অ্যাটাক হবে কী না?
১. হার্ট অ্যাটাকের সপ্তাহখানেক আগে ভোরের দিকে হঠাৎ বুকের বাঁ দিকে অস্বস্তি অনুভব হতে পারে।
২. বুকে ব্যথার সঙ্গে পেটেও ব্যথা হতে পারে। পরপর দুটি ঘটনা ঘটলে একে গ্যাসের ব্যথা ভেবে ভুল করবেন না।
৩. এই ব্যথাটি বাঁ হাত ও পিঠে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
৪. অনেক সময় ব্যথা চোয়ালে ও বুকে একসঙ্গে হয়।
৫. বুকে ব্যথার পাশাপাশি ভারী ভাব, প্রচন্ড ঘাম হতে পারে। এগুলি আধ ঘন্টার বেশি সময় ধরে চললে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে।
৬. তার আগে যদি কিছুদিন থেকে অল্পতেই ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ থেকে থাকে, তাহলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে।
আরও পড়ুনঃ এই পাঁচ সহজ উপায়ে মা লক্ষ্মীকে চিরদিন ঘরে বেঁধে রাখুন
সুস্থ থাকতে কী কী মেনে চলতে হবে?
হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপদ ঘটে গেলে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া কার্যত অসম্ভব। কৃত্রিমভাবে হৃদযন্ত্রকে সচল রাখার প্রক্রিয়া চেয়ে ভাল, যদি হৃদরোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আগাম কিছু পদক্ষেপ করলে হার্ট সুস্থ থাকতে পারে।
১. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন
২.প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যয়াম ও হাঁটাচলা করুন, শরীরকে সচল রাখুন
৩. লিপিড প্রোফাইলে কোনও সমস্যা থাকলে সেটা পরীক্ষা করে চিকিৎসা করিয়ে নিন
৪. কোলেস্টেরল যাতে রক্তে না জমে তা নজরে রাখা।
৫. বাইরের খাবার, বিশেষত ফাস্ট ফুড, তেলযুক্ত খাবার, ধূমপান ও মদ্যপান ছেড়ে দিন।
৬. পছন্দের গান শোনা, সিনেমা দেখা, বা বই পড়া মানসিকভাবে ভাল রাখে। তাতে রক্তচলাচল ভাল থাকে।