scorecardresearch
 

Heart Attack In Winter : শীতে বাড়ে হার্ট অ্যাটাক, ঝুঁকি এড়াতে কী করবেন? সহজ ৫ টিপস

বাইরের তাপমাত্রা অত্যধিক কমে গেলে, শরীর স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু যাঁদের হার্ট দুর্বল, তাঁরা অনেক সময় এই অ্যাডজাস্টটা করতে পারেন না। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়া শরীরের তাপ শোষণ করে। তাই শরীরকে গরম রাখতে হার্টকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু রক্তনালীতে যদি বাধার বৃষ্টি হয় তাহলে রক্তকে হার্টে পৌঁছানোর জন্য বেশি চাপ দিতে হয়। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে শীতকালে
  • অতিরিক্ত শীত রক্ত সঞ্চালনে প্রভাব ফেলে
  • এভাবে হৃদয়কে রাখুন সুস্থ

অতিরিক্ত ঠান্ডায় রক্ত ​​সঞ্চালন প্রভাবিত হতে পারে। ফলে হার্টে চাপ বাড়ে। লাগাতার তাপমাত্রা হ্রাসের সময় হার্টকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। কারণ শীতে অনেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। অনেক সময় তো তা মৃত্যুরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই শীতের দিন হার্টকে ভাল রাখতে হলে অবশ্যই সেটির স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। 

তীব্র ঠান্ডা হার্টকে কেন প্রভাবিত করে?
বাইরের তাপমাত্রা অত্যধিক কমে গেলে, শরীর স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু যাঁদের হার্ট দুর্বল, তাঁরা অনেক সময় এই অ্যাডজাস্টটা করতে পারেন না। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।

ঠান্ডা আবহাওয়া শরীরের তাপ শোষণ করে। তাই শরীরকে গরম রাখতে হার্টকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু রক্তনালীতে যদি বাধার বৃষ্টি হয় তাহলে রক্তকে হার্টে পৌঁছানোর জন্য বেশি চাপ দিতে হয়। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

কম তাপমাত্রা কীভাবে আমাদের প্রভাবিত করতে পারে?
১. ঠান্ডার কারণে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।
২. তাপমাত্রা কম থাকলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে।
৩. হার্ট স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করতে শুরু করে।
৪. রক্ত জমাট বাঁধতে পারে।
৫. হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৬. বয়স্ক ব্যক্তিদের ঝুঁকি আরও বেশি থাকে।

শীতকালে হার্ট অ্যাটাক এড়াতে কী করবেন?
১.
যদি সম্ভব হয়, যে ঘরে বেশিরভাগ সময় কাটান সেটিকে কমপক্ষে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখুন। মোটা কম্বল দিয়ে নিজেকে উষ্ণ রাখুন। রাতে মাথায় উলের টুপি পরে ঘুমাবেন। ইলেকট্রিক কম্বলও বাজারে এসেছে। সেগুলিও ব্যবহার করতে পারেন।

২. একটি মোটা পোশাকের পরিবর্তে একাধিক পালতা পোশাক পরুন। এটি ঠান্ডা লাগা থেকে বাঁচাবে এবং শীতের প্রবেশে বাধা দেবে। একটি টুপি, স্কার্ফ এবং গ্লাভস দেহের তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

Advertisement

৩. যদি বাড়িতে কম্বল থেকে বের হতেই  হয় তাহলে শরীরকে নড়াচড়ার মধ্যে রাখুন। তাতে অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও উন্নত হবে।

৪. শরীরকে উষ্ণ রাখতে এবং প্রয়োজনীয় এনার্জি দিতে গরম খাবার এবং স্বাস্থ্যকর গরম পানীয় গ্রহণ করুন। বাড়িতে তৈরি সবজি স্যুপ এক্ষেত্রে খুবই উপকারী।

৫. ঠান্ডা কাটাতে আগুন, হিটার বা হট ব্লোয়ারের সাহায্য নিতে পারেন। এছাড়া গরম তেল ম্যাসাজ করলেও উপকার পাবেন।

আরও পড়ুন - সংক্রান্তির আগেই মকরের মেজাজ, বাউলের সুরে মাতোয়ারা বাগনান

 

Advertisement